"মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি দেখানোটা নিশ্চয় সুফল বয়ে আনতে পারে না"!
"""""""""""""""""""""""""""""" """""""""""""""""""""""""""
যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে ফেসবুকে খুব জনদরদী স্টাটাস দিচ্ছেন, তাদের কাছে কয়েকটা প্রশ্ন।
ধরুন, আপনার বাড়ীতে একজন লোক আশ্রয় চাইল, আপনি আশ্রয় দিলেন, খাইতে দিলেন, হাগামুতার সুযোগ করেও দিলেন। পরেরদিন আপনাকে দয়াশীল লোক মনে করে পাশের এলাকার কিছু লোক আপনার বাড়ীতে আশ্রয় চাইল। আপনি একইভাবে তাদেরকেও জায়গা দিলেন। পরেরদিন আর কিছু, তার পরেরদিন আরো কিছু, তার পর বুঝলেন আপনার নিজের থাকার জাইগা অনেক আগেই হারাইছেন। এখন তারা সবাই একজোট হয়ে বলল, এই বাড়ীটা আসলেই তাদের। আপনি নিজেই সেই বাড়ীতে আশ্রয় নিতে এসেছিলেন!!
(প্রশ্ন নং- ১) কি করবেন তখন??
অথবা সুযোগ বুঝে তারা আপনার বাড়ীর সব জিনিষপত্র চুরি করে নিয়ে চলে গেল!!
(প্রশ্ন নং- ২) আপনার করনীয় বা কি তখন??
অথবা তারা একদিন আপনাকে খুন করলো। তারপর গ্রামে পুলিশ-বিজিবির টহল জোরদার করা হল, তারা এসে আপনাদের গ্রামের সবার স্বধীন চলাফেরা বিঘ্নিত করে ১৪৪ ধারা জারি করলো, সেই শান্ত সুন্দর গ্রামটিতে অশান্তির সৃষ্টি হলো!!
(প্রশ্ন নং- ৩) তাহলে ঐ সময় কি করা উচিত আপনার?
বর্তমানে আমাদের দেশে নিবন্ধিত রহিঙ্গা ভাই বোনের সংখ্যা কত জানেন? মাত্র ২লাখ! এভাবে যদি তারা দেশে প্রবেশ করতে থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা এটা ৭-৮ লাখ ছাড়িয়ে যাবে খুব শীঘ্রই!!
পরসমাচার? আমাদের জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের সময় কতটা ভোট পাগল হয় সেটা নতুন করে বলার কিছু নাই, তারা এদেরকে যদি এখন ভোটধীকার দিয়ে আমাদের দেশের নাগরিকত্ব দেয়? সম্ভাবনাটা খুব একটা অযৌকত্তিক না নিশ্চয়!
এখন আবেগীদের কথা হল তারা ভোটার হলে কি সমস্যা? এইটা বুঝার বয়স যদি আপনার না থাকে, তাইলে প্লিজ মাথায় হাল্কা তেলদিয়ে শুয়ে পড়ুন!
পরের কথা হলো, এই ৭-৮ লাখ রহিঙ্গা যদি কয়েক বছর পর নিজেদের জন্য স্বধীনতা চায়? নিজেদের জন্য আলাদা আভাসভূমি চায়? তাহলে নতুন একটা আলাদা বিশৃঙ্খলা তৈরি হল কি না? এমনিতে আমরা সমস্যার মহাসাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি!
সম্ভবনার কথাটা কেন বললাম, ফিলিস্তিন আর ইজরাইল এর দিকে তাকান! উত্তর পাইলেন তো!
আবার তাদের মধ্যে যে কেউ আই.এস এর সাথে জড়িত না, তার নিশ্চয়তা কে দিবে বলেন?
কিছুদিন আগে আমাদের দেশে কয়েকটি বাড়ীকে জঙ্গী আস্তানা হিসেবে চিহ্নিত করে ঘিরে রেখেছিল, প্রশাসনের কাছে জঙ্গী আটক এবং বোমার আগাতে মারাও গিয়েছিল! জঙ্গীর ভয় এখনো কাটেনি দেশে! এখন এর সুত্র ধরে যদি আমরিকা বলে, তোমাদের দেশে জঙ্গী বেশি হয়ে গেছে, কিছু নেভি সিল টিম, আর কয়েক লাখ আর্মি পাঠালাম, ওদের শেষ করতে। সিরিয়ার দিখে তাকিয়ে যদি ওদের সহায়তার কথা ছিন্তা করি, তখন সহ্য হবে তো বলেন? মানবতার খাতিরে কাওকে আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে থেকেই বলছি, শুধু মুসলিম বলে নয়, এই এখই রকম কাজ যদি মিয়ানমার এর বৌদ্ধ, হিন্দু বা অন্য ধর্মের কারো সাথে ঘটতো তবুও আমরা এই রকম ভাবেই আমাদের মানবতাবোধ ফুটে উঠতো কিন্তু, মানবতাবাদ দেখাতে গিয়ে নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব, ভূমি নিরাপত্তা... বিলীন করার পক্ষে একা সহায়তা করতে যাওয়া নিশ্চয়ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না!
আবেগ দিয়ে না ভেবে এই ইস্যুটাকে যুক্তি দিয়ে ভাবতে হবে! তাদের আশ্রয়কে রাজনৈতিকভাবে ভেবে এর ভবিষ্যত সম্পর্কেও চিন্তা করতে হবে! বার্মাকে আমরা এসব না করার জন্য চাপ দিতে পারি এবং এর সমাধান একমাত্র রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবিলা করতে হবে! তারা মেরে বের করে দিবে আর আমরা আশ্রয় দিয়েই যাবো,
'মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি দেখানোটা নিশ্চয় কোন সমধান হতে পারে না'!
রোহিঙ্গা অধিকার আদায়ে ইতিমধ্যে জিহাদি সংগঠন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তারা মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ করবে শুধু তা না, বাংলাদেশের সাথেও করবে। তারা সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার সহ স্বধীন আরকান চাইবে।
এদিকে ৩ পর্বত্য জেলায় স্বধিকারের আন্দলন চলবে। সাথে সাথে রোহিঙ্গাদের আন্দোলন চলবে। নিজ দেশের বহুধা আগুন নিভাতে গিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন থেকে ছিটকে গিয়ে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিখে ধাবিত হবে।
আচ্ছা পাহাড়ে এত অত্যাধুনিক অস্ত্র আসে কোথা থেকে?
জানেন?
চিন্তা করেছেন কখনো?
এত টাকা তারা পাই কোথায়?
এত বিদেশি এনজিও সেখানে কি করে? ভেবেছেন কখনো?
খাল কেটে কুমির টানার কথা যারা বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি,
"আবেগ দিয়ে দেশ চলে না"।
রোহিঙ্গারা নিজ দেশে যাতে নিরাপত্তা নিয়ে থাকতে পারে সেটার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আওয়াজ তুলুন। এই দেশে এনে আশ্রয় দেয়ার জন্য নিজের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না। নিজের ভালো পাগলেও বুঝে!
আপনি কেন বুঝবেন না।????
""""""""""""""""""""""""""""""
যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে ফেসবুকে খুব জনদরদী স্টাটাস দিচ্ছেন, তাদের কাছে কয়েকটা প্রশ্ন।
ধরুন, আপনার বাড়ীতে একজন লোক আশ্রয় চাইল, আপনি আশ্রয় দিলেন, খাইতে দিলেন, হাগামুতার সুযোগ করেও দিলেন। পরেরদিন আপনাকে দয়াশীল লোক মনে করে পাশের এলাকার কিছু লোক আপনার বাড়ীতে আশ্রয় চাইল। আপনি একইভাবে তাদেরকেও জায়গা দিলেন। পরেরদিন আর কিছু, তার পরেরদিন আরো কিছু, তার পর বুঝলেন আপনার নিজের থাকার জাইগা অনেক আগেই হারাইছেন। এখন তারা সবাই একজোট হয়ে বলল, এই বাড়ীটা আসলেই তাদের। আপনি নিজেই সেই বাড়ীতে আশ্রয় নিতে এসেছিলেন!!
(প্রশ্ন নং- ১) কি করবেন তখন??
অথবা সুযোগ বুঝে তারা আপনার বাড়ীর সব জিনিষপত্র চুরি করে নিয়ে চলে গেল!!
(প্রশ্ন নং- ২) আপনার করনীয় বা কি তখন??
অথবা তারা একদিন আপনাকে খুন করলো। তারপর গ্রামে পুলিশ-বিজিবির টহল জোরদার করা হল, তারা এসে আপনাদের গ্রামের সবার স্বধীন চলাফেরা বিঘ্নিত করে ১৪৪ ধারা জারি করলো, সেই শান্ত সুন্দর গ্রামটিতে অশান্তির সৃষ্টি হলো!!
(প্রশ্ন নং- ৩) তাহলে ঐ সময় কি করা উচিত আপনার?
বর্তমানে আমাদের দেশে নিবন্ধিত রহিঙ্গা ভাই বোনের সংখ্যা কত জানেন? মাত্র ২লাখ! এভাবে যদি তারা দেশে প্রবেশ করতে থাকে তাহলে বিশেষজ্ঞদের ধারনা এটা ৭-৮ লাখ ছাড়িয়ে যাবে খুব শীঘ্রই!!
পরসমাচার? আমাদের জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের সময় কতটা ভোট পাগল হয় সেটা নতুন করে বলার কিছু নাই, তারা এদেরকে যদি এখন ভোটধীকার দিয়ে আমাদের দেশের নাগরিকত্ব দেয়? সম্ভাবনাটা খুব একটা অযৌকত্তিক না নিশ্চয়!
এখন আবেগীদের কথা হল তারা ভোটার হলে কি সমস্যা? এইটা বুঝার বয়স যদি আপনার না থাকে, তাইলে প্লিজ মাথায় হাল্কা তেলদিয়ে শুয়ে পড়ুন!
পরের কথা হলো, এই ৭-৮ লাখ রহিঙ্গা যদি কয়েক বছর পর নিজেদের জন্য স্বধীনতা চায়? নিজেদের জন্য আলাদা আভাসভূমি চায়? তাহলে নতুন একটা আলাদা বিশৃঙ্খলা তৈরি হল কি না? এমনিতে আমরা সমস্যার মহাসাগরে হাবুডুবু খাচ্ছি!
সম্ভবনার কথাটা কেন বললাম, ফিলিস্তিন আর ইজরাইল এর দিকে তাকান! উত্তর পাইলেন তো!
আবার তাদের মধ্যে যে কেউ আই.এস এর সাথে জড়িত না, তার নিশ্চয়তা কে দিবে বলেন?
কিছুদিন আগে আমাদের দেশে কয়েকটি বাড়ীকে জঙ্গী আস্তানা হিসেবে চিহ্নিত করে ঘিরে রেখেছিল, প্রশাসনের কাছে জঙ্গী আটক এবং বোমার আগাতে মারাও গিয়েছিল! জঙ্গীর ভয় এখনো কাটেনি দেশে! এখন এর সুত্র ধরে যদি আমরিকা বলে, তোমাদের দেশে জঙ্গী বেশি হয়ে গেছে, কিছু নেভি সিল টিম, আর কয়েক লাখ আর্মি পাঠালাম, ওদের শেষ করতে। সিরিয়ার দিখে তাকিয়ে যদি ওদের সহায়তার কথা ছিন্তা করি, তখন সহ্য হবে তো বলেন? মানবতার খাতিরে কাওকে আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে থেকেই বলছি, শুধু মুসলিম বলে নয়, এই এখই রকম কাজ যদি মিয়ানমার এর বৌদ্ধ, হিন্দু বা অন্য ধর্মের কারো সাথে ঘটতো তবুও আমরা এই রকম ভাবেই আমাদের মানবতাবোধ ফুটে উঠতো কিন্তু, মানবতাবাদ দেখাতে গিয়ে নিজের দেশের সার্বভৌমত্ব, ভূমি নিরাপত্তা... বিলীন করার পক্ষে একা সহায়তা করতে যাওয়া নিশ্চয়ই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না!
আবেগ দিয়ে না ভেবে এই ইস্যুটাকে যুক্তি দিয়ে ভাবতে হবে! তাদের আশ্রয়কে রাজনৈতিকভাবে ভেবে এর ভবিষ্যত সম্পর্কেও চিন্তা করতে হবে! বার্মাকে আমরা এসব না করার জন্য চাপ দিতে পারি এবং এর সমাধান একমাত্র রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবিলা করতে হবে! তারা মেরে বের করে দিবে আর আমরা আশ্রয় দিয়েই যাবো,
'মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি দেখানোটা নিশ্চয় কোন সমধান হতে পারে না'!
রোহিঙ্গা অধিকার আদায়ে ইতিমধ্যে জিহাদি সংগঠন সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তারা মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ করবে শুধু তা না, বাংলাদেশের সাথেও করবে। তারা সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার সহ স্বধীন আরকান চাইবে।
এদিকে ৩ পর্বত্য জেলায় স্বধিকারের আন্দলন চলবে। সাথে সাথে রোহিঙ্গাদের আন্দোলন চলবে। নিজ দেশের বহুধা আগুন নিভাতে গিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন থেকে ছিটকে গিয়ে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিখে ধাবিত হবে।
আচ্ছা পাহাড়ে এত অত্যাধুনিক অস্ত্র আসে কোথা থেকে?
জানেন?
চিন্তা করেছেন কখনো?
এত টাকা তারা পাই কোথায়?
এত বিদেশি এনজিও সেখানে কি করে? ভেবেছেন কখনো?
খাল কেটে কুমির টানার কথা যারা বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলি,
"আবেগ দিয়ে দেশ চলে না"।
রোহিঙ্গারা নিজ দেশে যাতে নিরাপত্তা নিয়ে থাকতে পারে সেটার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে আওয়াজ তুলুন। এই দেশে এনে আশ্রয় দেয়ার জন্য নিজের সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না। নিজের ভালো পাগলেও বুঝে!
আপনি কেন বুঝবেন না।????
Comments
Post a Comment