যাদেরকে বিয়ে করলে আল্লাহর গজব নাযিল হয়।

যাদেরকে(নারী)বিয়ে করলে সংসারে আল্লাহর গজব নামবে:-

:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
ইসলাম ধর্মে বিয়েকে উপযুক্ত ব্যক্তির জন্য ফরয করা হয়েছে। তবে বিয়ের ব্যাপারে ইসলামে কড়া নির্দেশনা দেয়া আছে। ইসলামী শরীয়তে স্পষ্ট বলা আছে কোন ধরণের নারীকে বিয়ে করতে পারবে এবং কোন ধরণের নারীদের বিয়ে করা যাবে না। ইসলামে তিন শ্রেনীর নারীদেরকে বিয়ে করতে মানা করা হয়েছে। যদি কেউ তা অমান্য করে তাহলে তাদের সংসারে আল্লাহ তায়ালা গজব নেমে আসবে। যথাঃ
১) যারা রক্ত সম্পর্কের কারনে হারাম:-এই সম্পর্কের ৭ জন রয়েছে।
(
মা, কন্যা, বোন, ভাতিজী, ভাগিনী, খালা এবং ফুফু) ইত্যাদি।
২) দুগ্ধ সম্পর্ক বা দূধ পান করার কারনে হারাম:-এই সম্পর্কেরও ৭ জন রয়েছে।
(
দূধ মা, দূধ কন্যা, দূধ বোন, দূধ ভাতিজী, দূধ ভাগিনী, দূধ খালা এবং দূধ ফুফু) ইত্যাদি।
৩) যারা বৈবাহিক সম্পর্কের কারনে হারাম:-
সৎ মা, পুত্র বধু বা পৌত্র বধু (নাতির বউ), শ্বাশুড়ী, দাদি শ্বাশুড়ী বা নানী শ্বাশুড়ী এবং স্ত্রীর অন্য পক্ষের কন্যাসমূহ।
অনুরুপভাবে, স্ত্রী ও তার বোন, স্ত্রী ও তার ফুফু, স্ত্রী ও তার খালাকে একই সময়ে একত্রে বিবাহ করে একত্রে স্ত্রী হিসাবে রাখা হারাম। মহান আল্লাহ বলেছেন,

﴿وَلَا تَنۡكِحُوۡا مَا نَكَحَ اٰبَآؤُكُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ‌ؕ اِنَّهٗ كَانَ فَاحِشَةً وَّمَقۡتًاؕ وَسَآءَ سَبِيۡلاً‏﴾


অর্থ:- আর তোমাদের পিতা যেসব স্ত্রীলোককে বিয়ে করেছে, তাদেরকে কোনোক্রমেই বিয়ে করো না, তবে আগে যা হয়েছে তা হয়ে গেছে। আসলে এটা একটা নির্লজ্জতাপ্রসূত গজবের কাজ, অপছন্দনীয় ও নিকৃষ্ট আচরণ।
(সূরা নিসাঃ আয়াতঃ-২২ 



এবং ইমাম বুখারী সংগৃহিত হাদিসঃ ২৬৪৫, ৫১০৯)।
(আরো বিস্তারিত জানতে সুরা নিসার ২৩ নং আয়াত ও তার তাফসীর বা ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।)
আল্লাহ আমাদেরকে তার গজব থেকে হিফাজত করুন।




 

Comments