নামাজের গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল।

জামায়াতে নামাজ আদায়ের সময় অনেক ব্যক্তি জেনে বা না জেনে কিছু ভুল করে থাকেন। যে ভুল গুলোকে অনেকে আবার ভুলও মনে করেন না। এমনকি দীর্ঘদিন ধরে যারা নিয়মিত নামাজ পড়েন তারাও অবলীলায় এসব ভুল করে থাকেন। ভুল করতে করতে এমন অবস্থা হয়েছে যে, এখন এই ভুল গুলোকেই সঠিক নিয়ম বলে মনে হয়। ধারাবাহিকভাবে সেগুলোর কয়েকটি উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি।
জামাতের নামাজে ভুল; ধারাবাহিক পোষ্ট-(১৩):-
"'"'"'"'"''"''""''"""'''"""''""''"""''""""'''""""''"""'''"''''""'''""'''""''""''''"'''""
নামাযের প্রত্যেক রুকনেই মুকতাদির জন্য ইমামের অনুসরণ করা ওয়াজিব। ইমামের আগে মুকতাদির রুকু বা সিজদায় চলে যাওয়া কিংবা ইমামের আগেই মুকতাদির দাঁড়িয়ে যাওয়া মাকরূহ তাহরীমী। এ ক্ষেত্রে ইমামের উচিত মুক্তাদীদের সতর্ক করা। নবিজী এরশাদ করেন।
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋَﻦْ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺎﻝَ : ﺇﻧَّﻤَﺎ ﺟُﻌِﻞَ ﺍﻹِﻣَﺎﻡُ ﻟِﻴُﺆْﺗَﻢَّ ﺑِﻪِ ﻓَﻼ ﺗَﺨْﺘَﻠِﻔُﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﻛَﺒَّﺮَ ﻓَﻜَﺒِّﺮُﻭﺍ , ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺭَﻛَﻊَ ﻓَﺎﺭْﻛَﻌُﻮﺍ ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺭَﻓَﻊَ ﻓَﺎﺭْﻓَﻌُﻮﺍ , 

অর্থ- নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ইমাম নির্ধারণ করা হয়েছে তার অনুসরণ করার জন্য। সুতরাং ইমাম যখন রুকু করবে তখন তোমরা রুকু করবে, যখন ইমাম রুকু থেকে মাথা উঠাবে তখন তোমরাও মাথা উঠাবে।
সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৪১২।
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﺃﻣﺎ ﻳﺨﺸﻰ ﺍﻟﺬﻱ ﻳﺮﻓﻊ ﺭﺃﺳﻪ ﻗﺒﻞ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺃﻥ ﻳﺤﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺃﺳﻪ ﺭﺃﺱ ﺣﻤﺎﺭ " 

অর্থ- সহীহ বুখারীতে এসেছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের মাঝে যে ইমামের আগে মাথা উঠিয়ে ফেলে সে কি ভয় করে না যে, আল্লাহ তার মাথাকে গাধার মতো অথবা তার আকৃতিকে গাধার আকৃতি বানিয়ে দিবেন।
-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৯১;
আলমুহীতুল বুরহানী ২/১১৮
রদ্দুল মুহতার ১/৫৯৫
আলবাহরুর রায়েক ২/৭৭।
আল্লাহ তায়ালা হাদীস অনুযায়ী আমল করার তৌফীক দান করুন।





Comments