এসো আরবী শিখি।

আরবি ভাষায় জমার (বহুবচন) পরিচয় ও প্রকার সমুহঃ- 
**************************************************
এ আর্টিক্যালটি দ্বারা উদ্দেশ্য হলো প্রাথমিকভাবে  আরবি জমা বা বহুবচনের ব্যাপারে একটা সামগ্রিক ও স্বচ্ছ ধারণা লাভ করা; বিস্তারিত নিয়ম-কানুন এখানে উদ্দেশ্য নয়। পরবর্তিতে ধারাবাহিকভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। :)

.
আরবি ভাষায় নানা ধরণের নানা আঙ্গিকের জমা বা বহুবচন  রয়েছে। মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে এক নজরে শুধু এ জমার নামগুলো দেখে নিই। এতে সামনের আলোচনা বুঝা আমাদের জন্য অনেকটা সহজ হয়ে আসবে। 

মৌলিকবাবে মোট ৯ ধরণের জমা রয়েছে। 

১. الجمع السالم
ক جمع المذكر السالم    
খ. جمع المونث السالم  

২. الجمع المكسر
ক. جمع القلة   
খ. جمع الكثرة    
খ.- جمع منتهي الجموع  

৩. اسم الجمع 

৪. اسم الجنس
ক. اسم الجنس الجمعي  
খ. اسم الجنس الافرادي   

৫. جمع الجمع  
৬. جمع لا مفرد له
৭. المفرد والجمع سواء
৮. جمع المركبات  
৯.  جمع الأعلام

পরিচয় : 
এর আলাদা কোন পরিচয় দেবার কোন দরকার আছে বলে মনে হয় না। জমা মানে বহুবচন, যে ইসম তিন বা তিনের বেশি সংখ্যাকে বুঝায়। 

প্রকার : 
একবচন থেকে বহুবচনটি গঠন করা হয় এক বচনের রূপটি সালেম তথা অক্ষুণ্ন রেখে শেষে কিছু অক্ষর বাড়িয়ে অথবা একবচনের রূপটিকে মুকাস্সার তথা ভেঙ্গে-চুরে সম্পূর্ণ নতুন রূপে।

তাই জমা প্রথমত দুই প্রকার— 
১. الجمع السالم    
২.الجمع المكسر

★★
জমা সালেম الجمع السالم— ওয়াহেদের গঠন ঠিক রেখে শেষে কিছু অক্ষর বাড়ানো হয়।

এটা আবার দুই প্রকার— 
ক. جمع  المذكر السالم  
একবচনের গঠন ঠিক রেখে শেষে ওয়াও-নুন/ইয়া নুন বাড়িয়ে। 

*
মনে রাখতে হবে। এ ধরণের জমা তৈরী করা যায় কেবল আকেল মুযাক্কারের আলমের জন্য এবং আকেল মুযাক্কারের সিফাতের জন্য। যেমন, زيد থেকে زيدون এবং كاتب  থেকে كاتبون. 

*
অদ্ভূত কিছু ইসম আছে, যেগুলো চেহারা সুরতে جمع المذكر السالم এর মত; কিন্তু ওরা আসলে তা নয়। কারণ, ওরা শর্ত ও নিয়ম মেনে আসে নি। যেমন,(سِنون .أرضون عِشْرون  تسعون). 

তো, এখন নিয়ম না মানার কারণে যদি আমরা এদেরকে দল থেকে বহিস্কার করতে যাই তাহলে এরা বাইরে গিয়ে এরাব নিয়ে ঝামেলা পাকাবে। আপনি হয়তো চেহারায় ধোকা খেয়ে না বুঝেই মুযাক্কার সালেমের এরাব এদেরকে দিয়ে বসবেন, ওরাও চুপটি মেরে বসে থাকবে। এ জন্য এরাব প্রদানের ক্ষেত্রে এদেরকেও এ দলে নিয়ে নেওয়া হয়েছে। 

*
এমনিভাবে কেউ যদি জমা মুযাক্কারে সালেম দিয়ে কারো নাম রেখে ফেলে তাহলে সে নামটিকেও জমা মুজাক্কারে সালেমের মত এরাব দিতে হবে। যেমন,جاء عابدون-  رأيت عابدين ومررت بعابدين.  আবিদুন এসেছে, আবিদুনকে দেখেছি, আবিদুনের পাশ দিয়ে গিয়েছি।   

*
একটা মজার ব্যাপার হলো— আপনি যখন মুযাক্কার সালেমের জমা বানাতে যাবেন তখন দেখবেন একবচন সবগুলোর চেহারা-চরিত্র একরকম নয়; কোনটি صحيح, شبه الصحيح, কোনটি الاسم المدود, আবার কোনটি الاسم المقصور বা الاسم المنقوص. সবগুলোর শেষেই আপনি ওয়াও নুন বা ইয়া নুন (নিয়মমত যখন যেখানে যা দরকার।) লাগাবেন ঠিক, তবে তার আগে প্রত্যেকটির আলাদা কিছু দাবি পূরণ করতে হবে। সামনের পোস্টে আমরা এ বিষয়গুলো আলোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ। 

খ. المونث السالم : 
মূল গঠন ঠিক রেখে শেষে আলিফ তা বাড়িয়ে একে গঠন করতে হয়। যেমন-مرضعথেকে مرضعات ٍ

*
মোট ১০ ধরণের ইসমের ক্ষেত্রে এরকম করে জমা তৈরী করা যায়। 

*
এর এরাবের সাথেও এমন কিছু ইসিম এসে যুক্ত হয় যেগুলো নিয়ম মেনে হয় নি। কিছুই করার নেই। সাথে নিতেই হবে। তবে আশার কথা হলো এমন ইসিম বেশি নয়; মাত্র দুইটি—
এক. উলাত শব্দটি,  এর অর্থ হলো ٍ  صاحباتٍ
দুই. এ ধরণের জমা কোন ইসম দিয়ে যদি কোন কিছুর নাম করণ করা হয়। যেমন—( عَرفاتٍ). 

*
আরেকটা কথা- جمع المونث السالم বানাতে হলে তো ওয়াহেদ এর শেষে অবশ্যই  ات যুক্ত করবেন,
তবে এখানেও واحد গুলোকে আপনি এক চেহারায় পাবেন না। 
- কোনটির শেষে ة রয়েছে, 
- কোনটি الاسم الممدود বা الاسم المقصور, 
- আবার কোনটি তিন অক্ষর বিশিষ্ট, 
- কোনটি তিনের অধিক... এরকম নানা ধরণ। 

তো, ات যুক্ত করার আগে প্রত্যেকেরই কিছু দাবি-দাওয়া থাকবে। এগুলো আপনাকে পূরণ করতে হবে। 

★★
জমা মুকাস্সার- . الجمع المكسر— 
মূল গঠনটি ভেঙ্গে ফেলা হয় এবং আগের উপাদানগুলোর সাথে নতুন কিছু যুক্ত করে সম্পূর্ণ নতুন চেহারায় একে গঠন করা হয়। যেমন, 

এটা আবার দুই ধরণের—
এক. তিন থেকে দশ সংখ্যক বুঝানোর জন্য। একে جمع القلة বা অল্প সংখ্যা নির্দেশক বহুবচন বলা হয়। 

দুই. তিন থেকে অসীম সংখ্যা বুঝানোর জন্য। একে جمع الكثرة বা বেশি সংখ্যা নির্দেশক বহুবচন বলে।  

জমা কিল্লতের ওজন চারটি—
১.(أَفْعُل : أنفسْ ٍُ
২.( أفعالٌ : أجدادٍ
৩.(أَفعِلَة : َأَعْمدةٍَ
৪. فِعْلَة : َفِتيةٍ

আর জমা কাসরাতের জন্য ওজন রয়েছে ১৬টি—
(1) فُعْلٌ كَحُمْرٍ 
 (2) فُعُلٌ كَصُبُرٍ 
 (3) فُعَلٌ كَغُرَفٍ 
 (4) فِعَلٌ كَقِطَعٍ 
 (5) فُعَلة. كَهُداةٍ (وأصلُها. هُدَيَةٌ).
 (6) فَعَلة كَسحَرَةِ
 (7) فَعْلى كَمَرْضى
 (8) فِعَلَة" كَدِرَجَةٍ 
 (9) فُعَّلٌ كَرُكَّعٍ
 (10) فُعّالٌ كَكُتّابٍ
 (11) فِعالٌ كَجبالٍ .
(12) فُعولٌ كقُلوبٍ 
 (13) فِعْلان كَغِلْمان 
 (15) فُعَلاءُ كَنُبهاءَ
(16) أفعِلاءُ كَأَنبياءَ

*
।جمع الكثرة এর জন্য আরেকটা স্টাইল আছে— একে বলা হয় منتهى الجموع . আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে-সকল জমায় জমার  الفএর পরে দুইটি হরফ রয়েছে বা তিন হরফ হয়ে মাঝের হরফটি সাকিন হয়েছে সেগুলোই صيغ منتهي الجموع বলা হয়। এর ওজন রয়েছে মোট উনিশটি-
 (1) فعالِلُ : دَراهِمَ
(2) فَعالِيلُ : دَنانيرَ.
 (3 ) أَفاعِلَ : أَنامِلَ 
(4) أفاعيلُ : أضابيرَ
 (5 ) تفاعلُ : تَجارِبَ 
(6) تفاعيلُ : تسابيحَ.
 (7 ) مفاعل : مساجد 
(8) مفاعيل : مصابيح.
(9 ) يَفاعِلُ : يَحامِدَ
(10) ويفاعيل : يحاميمْ.
 (11) فواعلُ : خوَاتِمَ 
(12) وفواعيلُ : طواحينَ.
 (13 ) فياعل : صَيارف 
(14) وفياعيل : دياجير.
 (15) فعائل : صَحائف.
 (16) فَعالى "بفتح الفاء واللام" كعذارى وغضابى.
(17) فُعالى "بضم الفاء وكسر اللام" كتراق وموام.
(18) فُعالى "بضم الفاء وفتح اللام" : سكارى.

*
এখানে আপনার একটু খটকা লাগতে পারে— সবগুলোতেই তো الف এর পর দুই হরফ বা মাঝের হরফ হরফ সাকিন হয়ে তিন হরফ। ওজন তো এ দুটোই। এগুলো উনিশটি হয় কী করে? 

অবশ্য, 
আপনি বলতে পারেন- ফা আইন লাম দিয়ে তৈরী এর ফর্মাগুলো আপনি খেয়াল করেন, দেখবেন একরকম নয়। ব্যবধানটি ফর্মা দেখে বুঝতে হবে। কিন্তু আমি বলবো দেখতে ও উচ্চারণে একই ওজনের দুটোর জন্য দুই ফর্মা বানানো হলো কেন? উভয়টাকেই তো আমি এক ফর্মায় ফেলতে পারি। 

এর জবাব হলো—ব্যবধানের কারণটি বুঝতে হলে আপনাকে ওজন বলতে আমরা কী বুঝি আগে তা জানতে হবে। পরের কোন পোস্টে আমরা আলাদা করে ওজনের ব্যাপারটি আলাপ করবো। এখন শুধু এটুকু জেনে রাখুন জমা মুনতাহাল জুমু এর ওজন হলো উনিশটি এবং সেগুলো হলো এই।

*
আচ্ছা, একটা প্রশ্ন— الجمع السالم যেমন আমরা নিয়ম মেনে নিজেরাই তৈরী করতে পারি, মুকাস্সারগুলোও কি এরকম ইচ্ছামত তৈরী করা যায়?

এর উত্তর হলো— হ্যাঁ এবং না। অর্থাৎ কিছু আছে নিয়ম মেনে তৈরী করা যায় আর কিছু আছে এদের নিয়মের কোন বালাই নেই। এগুলো শুনে শুনেই জানতে হবে।  

★★
বহু নির্দেশক এক বচনের ইসম-اسم الجمع—
কিছু শব্দ আছে জমার অর্থ প্রদান করে তবে এর নিজস্ব হরফ থেকে কোন ওয়াহেদ খুঁজে পাওয়া যায় না। ওয়াহেদটি নিতে হয় অন্য একটি শব্দ থেকে। 

যেমন (جيشٍ) এর ওয়াহেদ হলো ( جندي)

এমনিভাবে (وشعب وقبيلة وقوم ورهط ومعشر وثلة) এ শব্দগুলোর ওয়াহেদ হলো— (رجل)অথবা (امرأة).

*
এগুলোকে আপনি অর্থের বিবেচনা করে জমা হিসেবে ধরতে পারেন আবার শব্দের বিবেচনা করে ওয়াহেদ ধরতে পারেন। শব্দের বিবেচনায় ওয়াহেদ ধরে এগুলো থেকে আবার تثنية ও جمعও বানাতে পারেন। যেমন, قومان ও أقوام. 

★★
প্রজাতি বা শ্রেণী নির্দেশক ইসম- اسم الجنس—
আমাদের চারপাশের প্রতিটি জিনিসেরই নিজস্ব একটা শ্রেণী বা প্রজাতি আছে। প্রত্যেকটি জিনিস আপন প্রজাতির সদস্য বা অংশ। 

যেমন— মানুষ। একটা শ্রেণীর নাম। আর আমি আপনি হলাম সে শ্রেণীর একেক জন সদস্য। অথবা বাড়ি। একটি শ্রেণীর নাম। আমাদের চারপাশে যে ঘরবাড়ি আছে সেগুলো এ শ্রেণীর একেকটি সদস্য। 

তো, আমাদেরকে অনেক সময় কোন সদস্যকে না বুঝিয়ে ব্যাপকভাবে একটি শ্রেণীর কথা বলতে হয়। এরকম সময় আমরা যে ধরণের শব্দ ব্যবহার করি এগুলোকে বলা হয় ইসমে জিনস। 

যেমন, تُفّاحٍ অর্থ হলো আপেল। يَهود মানে হলো ইহুদী জাতি। এমনিভাবে ماءٍ মানে হলো পানি। 

একটা ব্যাপার খেয়াল করুন— সকল প্রজাতিগুলোর সদস্যদের অবস্থা কিন্তু একরকম নয়। যেমন কিছু প্রজাতি আছে যেগুলোর সদস্যরা আলাদা আলাদা। 
ধরুন- মানুষ। মানুষ প্রজাতির প্রতিটি সদস্য আলাদা, স্বয়ংসম্পূর্ণ। একটা সদস্যকে যদি কেটে দুভাগ করে ফেলেন তখন উভয় খণ্ডকে আলাদা আলাদা  আর মানুষ বলা যায় না। 

আবার কিছু আছে যেগুলোর সদস্যরা আলাদা আলাদা নয়। এদের স্বয়ংসম্পূর্ণ কোন অস্তিত্ব নেই। যেমন পানি, এর অংশগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট কোন পরিমাণ বা রূপকাঠামো ঠিক করা নেই। বরং পানির একটি অংশকে যে পরিমাণে বা যে আঙ্গিকেই রাখুন নির্দিধায় একে পানি বলা যায়। এ অংশটিকে কেটে দুভাগ করে ফেললে প্রতিটি ভাগকে আবার আলাদা আলাদাভাবে পানি বলে আখ্যায়িত করা যায়। স্বর্ণের বিষয়টিও এমন। রূপার বিষয়টিও এমন। এরকম আরো অনেক কিছু রয়েছে। আপনি চিন্তা করলেই বের করতে পারবেন। 

তো, কথা হলো- সদস্যরা আলাদা ও স্বয়ংসম্পূর্ণ এমন প্রজাতিগুলো বুঝানোর জন্য যে ইসমকে ব্যবহার করা হয় এগুলোকে বলা হয় ইসমুল জিনস আল জামঈ। 

মজার বিষয় হলো এ শ্রেণীটি থেকে অনির্দিষ্ট কোন একটি সদস্যকে বুঝাতে চাইলে এগুলোর শেষে আপনাকে গোল তা বা ইয়া যুক্ত করতে হবে।

যেমন  تُفّاحٍ অর্থ হলো আপেল। আর تفاحةٌ অর্থ হলো একটি আপেল। এমনিভাবে  تَمرٍ মানে খেজুর। কিন্তু تمرةٌ মানে একটি খেজুর। 
এদিকে يَهود মানে ইহুদী জাতি। কিন্তু يهوديٌّ মানে একজন ইয়াহুদী। عَرَبٍ মানে আরব জাতি। কিন্তু عربيٌّ মানে একজন আরবী। 

*
কখন গোল তা আর কখন ইয়া যুক্ত করবেন? কোন নিয়ম নেই। আরবদের থেকে শুনে শুনে শিখতে হবে।  এ ধরণের اسم গুলোকে বলা হয়—اسم الجنس الجمعي 

আর, সদস্যদের আলাদা ও স্বয়ংসম্পূর্ণ অস্তিত্ব নেই এমন শ্রেণীকে বুঝানোর জন্য যে ইসমকে ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে বলা হয়— اسم الجنس الإفرادي

★★
বহুবচনের বহুবচন-  جمع الجمع—
অদ্ভূত একটা ব্যাপার হলো কখনো জমাকে আবার জমা বানানো হয়। যেমন— صَواحبات, أكالبَ , بيوتاتٍ ইত্যাদি। যে-কোন জমাকে ধরে ইচ্ছামত আবার জমা বানিয়ে ফেলবেন? হ্যাঁ, মুনতাহাল জুমুর কিছু সীগা থেকে পারবেন, তবে এগুলো ছাড়া বাকিগুলো ইচ্ছামত বানানো যায় না। আরবরা যাকে যাকে যেভাবে বানিয়ে রেখেছে, সেগুলো শুধু মুখস্ত করে রাখতে পারেন। যেগুলোকে বানায় নি, সেগুলোকে এখন আমরা বানাতে পারবো না। 

ওয়াহেদ বিহীন জমা—جمع لا مفرد له— 
ব্যাপারটা মজার। এ শব্দগুলোর শুধু জমার রূপটিই পাওয়া যায়। ওয়াহেদ একদা ছিলো, কিন্তু ওয়াহেদটাকে বলতে ব্যবহার করার দরকারই লাগে না। ফলে একসময় তা বিস্মৃত হয়ে গেছে। বেঁচে আছে শুধু এই জমাটাই। যেমন— الأبابيل (দলসমূহ) 

★★
ওয়াহেদ জমা একইالجمع والواحد سواء—
জমাতে অনেক ভুতুড়ে কাণ্ড ঘটে। এই যেমন, কিছু শব্দ আছে ওয়াহেদ জমা একই। বাক্যে ব্যবহার করার পর আগ-পরের বক্তব্য থেকে ধরতে হয় এখানে কি ওয়াহেদ হিসেবে এসেছে না জমা হিসেবে। যেমন,جُنُبٌ  عدُوّ فُلْك ضيف،  ولد ইত্যাদি। তো এ শব্দগুলোতে ওয়াহেদ জমা, মুযাক্কার মুআন্নাস সব বরাবর। 

★★
মুরাক্কাবকে জমা করা : جمع المركبات—
অনেক সময় একটা শব্দকে আরেকটা শব্দের সাথে সংযুক্ত করে (অর্থাৎ এজাফত করে) একটা সংযুক্ত শব্দ তৈরী করা হয়। 

যেমন আব্দুল্লাহর ছেলে। এখন একে জমা করে যদি বলতে চান রাশেদের কলমগুলো, তাহলে আপনি কলমকে জমা বানিয়ে বলুন, এর মানে সংযুক্ত শব্দটির যে অংশটিকে বহুবচন বানানো দরকার তাকে তার নিয়ম মত বহুবচন বানিয়ে নিন। হয়ে যাবে। অবশ্য এর প্রথম অংশটি যদি   বা   হয় তাহলে একটু সতর্ক থাকতে হবে। 

★★
নামের জমা- جمع الأعلام—
কোন মানুস বা অন্য যে কোন কিছুকে সুনির্দিষ্ট করার জন্য তার ব্যাক্তিগত একটি নাম রাখা হয়। আরবিতে একে বলা হয় আলম। 

যেমন যায়েদ। অনেক সময় দেখা যায় একই নামে একাধিক ব্যাক্তি হয়ে যায়, তখন বাঙলায় আমরা বলি যায়েদরা বা যায়েদগণ মিলে এমনটি করেছে। 

এই যে যায়েদকে আমরা রা বা গণ লাগিয়ে বহুবচন করে ফেললাম, আরবিতেও এমনটি করা যায়। একে বলা হয় জমউল আ’লাম। 

আলম পুরুষের হয়, নারীরও হয়। নানাভাবে হয়। কাদেরটা কখন কীভাবে করতে হয় এর জন্য সহজ কিছু নিয়ম আছে। সামনে আলোচনা হবে। ইনশাআল্লাহ।

Comments

  1. ভাল লেগেছে।উপকার পেয়েছি।

    ReplyDelete

Post a Comment