গীবতের ভয়াবহ পরিনাম এবং তার প্রতিকার:-
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""''"""
আমাদের সমাজে আমরা নিজেদের জানা ও অজানা অবস্থায় যেই গোনাহটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণে করে থাকি, তা হচ্ছে ‘গীবত’। এটি এমন একটি গোনাহ যা করার সময় আমাদের মনে হয়না যে আমরা গোনাহ করছি।
কেননা আমরা জানিনা যে, গীবত কি?
গীবত কাকে বলে?
গীবতের শাব্দিক অর্থ কি?
গীবতের ক্ষতি কী?
আসুন মূল আলোচনায় যায়।
গীবত এর শাব্দিক অর্থ হল পরনিন্দা, পরচর্চা বা সমালোচনা, ইত্যাদি।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে- রাসূল সা.-কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, পরিভাষায় গীবত কাকে বলে?
তখন মহানবী সা. বলেন-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْغِيبَةُ قَالَ " ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهُ " . قِيلَ أَفَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ فِي أَخِي مَا أَقُولُ قَالَ " إِنْ كَانَ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدِ اغْتَبْتَهُ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِيهِ مَا تَقُولُ فَقَدْ بَهَتَّهُ "..
হযরত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে প্রশ্ন করা হলো, গীবত কী? তিনি বললেন, তোমরা ভাইয়ের ব্যাপারে তোমার এমন কিছু বলা যা শুনলে সে অসন্তুষ্ট হয়। পুনরায় প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে বর্তমান থাকে? তিনি বললেন, তুমি যা বলো তা যদি তার মধ্যে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর তুমি যা বলো তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তুমি তাকে মিথ্যা অপবাদ দিলে।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৭৪।
আমরা অনেকে মনে করি স্বভাব চরিত্রের দোষ বর্ণনা করাই গীবত, আসলে বিষয়টি এমন নয়; বরং একজন মানুষের পারিপার্শিক যত বিষয়ে তাকে কটাক্ষ করা যায় তা সবই গীবতের অর্ন্তভূক্ত। যেমন- তার দৈহিক আকার আকৃতি, জ্ঞান-বুদ্ধি, পুষাক-পরিচ্ছেদ, বংশ পরিক্রমা
ইত্যাদি। এগুলির কোন একটি নিয়ে আলোচনা করা।
যেমন একবার হযরত আয়েশা রা. প্রিয় নবী সা. এর সামনে রাসূলের অপর এক স্ত্রী হযরত সাফিয়া রা. এর সম্পর্কে, যিনি একটু খাটো ছিলেন আলোচনা করতে গিয়ে নিজের হাত দ্বারা ইশারাহ করে দেখালেন যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সাফিয়া তো ইয়ে, অর্থাৎ বুঝাতে চাইলেন তিনি খাটো। এভাবে ইশারাহ করার দ্বারাই গীবত হয়ে গেল। তাই তখন নবী সা. বললেন যে,
“হে আয়েশা! আজ তুমি এমন একটা কাজ করলে, যদি এই আমলের দুর্গন্ধ এবং তার বিষ সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে গোটা সমুদ্রের পানি দুর্গন্ধযুক্ত এবং বিষাক্ত হয়ে যাবে। সুতরাং এর থেকে বুঝা গেল যে, ইশারা-ইঙ্গিত ও অঙ্গ ভঙ্গির মাধ্যমে কারো দোষ প্রকাশ করাও গীবত এবং গুনাহের অর্ন্তভুক্ত।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এই গীবতের পরিণাম বুঝাতে ইরশাদ করেন-
وَلَا يَغۡتَب بَّعۡضُكُمۡ بَعۡضًاؕ اَيُحِبُّ اَحَدُكُمۡ اَنۡ يَّاۡكُلَ لَحۡمَ اَخِيۡهِ مَيۡتًا فَكَرِهۡتُمُوۡهُؕ وَاتَّقُوۡا اللّٰهَؕ اِنَّ اللّٰهَ تَوَّابٌ رَّحِيۡمٌ...
“আর তোমরা একে অপরের গীবত করোনা। তোমাদের কেউ কি এটা পছন্দ করবে যে, সে তার মৃত ভাইয়ের গোশত খাবে। নিশ্চয়ই তোমরা এটাকে অপছন্দ করবে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চই আল্লাহ তাআলা সিমাহীন ক্ষমাকারী এবং দয়ালু।”
[সূরা হুজরাত : ১২]
এই আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা কারো গীবত করাকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন।
গীবতের ভয়াবহতা বুঝানোর জন্যেই অপর এক হাদীসে রাসূল সা. ইরশাদ করেন-
الغيبة أشد من الزناء...
“গীবত করা যিনা থেকেও মারাত্মক।” [মেশকাত, বায়হাকি]
অতএব বুঝা গেল যিনা করলে যে গুনাহ হয় এর চাইতে বেশি গুনাহ হয় গীবত করলে।
গীবতের গুনাহ যেমন বড় তেমনি এর পরিণতিও খুবই ভয়াবহ। এটা বুঝানোর জন্য রাসূল সা. গীবতকারীদের ইহকালীন ও পরকালীন শাস্তি সম্পর্কে ইরশাদ করেন,
১। ইহকালীন শাস্তিঃ-
عَنْ أَبِي بَرْزَةَ الأَسْلَمِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا مَعْشَرَ مَنْ آمَنَ بِلِسَانِهِ وَلَمْ يَدْخُلِ الإِيمَانُ قَلْبَهُ لاَ تَغْتَابُوا الْمُسْلِمِينَ وَلاَ تَتَّبِعُوا عَوْرَاتِهِمْ فَإِنَّهُ مَنِ اتَّبَعَ عَوْرَاتِهِمْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ وَمَنْ يَتَّبِعِ اللَّهُ عَوْرَتَهُ يَفْضَحْهُ فِي بَيْتِهِ " .
হযরত আবূ বারযাহ আল-আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, হে সেসব লোক যারা কেবল মুখেই ঈমান এনেছে কিন্তু ঈমান অন্তরে প্রবেশ করেনি! তোমরা মুসলিমদের গীবত করবে না ও দোষত্রুটি তালাশ করবে না। কারণ যারা তাদের দোষত্রুটি খুঁজে বেড়াবে আল্লাহও তাদের দোষত্রুটি খুঁজবেন। আর আল্লাহ কারো দোষত্রুটি তালাশ করলে তাকে তার ঘরের মধ্যেই অপদস্থ করে ছাড়বেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৮০।
২। পরকালীন শাস্তিঃ-
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَمَّا عُرِجَ بِي مَرَرْتُ بِقَوْمٍ لَهُمْ أَظْفَارٌ مِنْ نُحَاسٍ يَخْمِشُونَ وُجُوهَهُمْ وَصُدُورَهُمْ فَقُلْتُ مَنْ هَؤُلاَءِ يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ يَأْكُلُونَ لُحُومَ النَّاسِ وَيَقَعُونَ فِي أَعْرَاضِهِمْ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ حَدَّثَنَاهُ يَحْيَى بْنُ عُثْمَانَ عَنْ بَقِيَّةَ لَيْسَ فِيهِ أَنَسٌ .
হযরত আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এরশাদ করেছেন মি’রাজের রাতে আমি এমন এক কওমের পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম যাদের নখগুলো তামার তৈরী এবং তা দিয়ে তারা অনবরত তাদের মুখমণ্ডলে ও বুকে আচড় মারছে। আমি বললাম, হে জিবরীল ! এরা কারা? তিনি বললেন, এরা সেসব লোক যারা মানুষের গোশত খেতো অর্থাৎ, মানুষের গীবত করত এবং মানুষের ইজ্জতের উপর হামলা করত।” এবং তাদের মানসম্মানে আঘাত হানতো ।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৭৮।
৩। উভয় শাস্তিঃ-
عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَكَلَ بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ أَكْلَةً فَإِنَّ اللَّهَ يُطْعِمُهُ مِثْلَهَا مِنْ جَهَنَّمَ وَمَنْ كُسِيَ ثَوْبًا بِرَجُلٍ مُسْلِمٍ فَإِنَّ اللَّهَ يَكْسُوهُ مِثْلَهُ مِنْ جَهَنَّمَ وَمَنْ قَامَ بِرَجُلٍ مَقَامَ سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ فَإِنَّ اللَّهَ يَقُومُ بِهِ مَقَامَ سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
হযরত আল-মুসতাওরিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের গীবত করতে করতে এক লোকমা ভক্ষন করবে আল্লাহ তাকে এজন্য জাহান্নাম হতে সমপরিমাণ ভক্ষন করাবেন। আর যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের দোষত্রুটি বর্ণনা করতে করতে পোশাক পরবে আল্লাহ তাকে অনুরূপ জাহন্নামের পোশাক পরাবেন। আর যে ব্যক্তি অপর ব্যক্তির (কুৎসা) রটিয়ে খ্যাতি ও প্রদর্শনীর স্তরে পৌছবে, মহান আল্লাহ ক্বিয়ামতের দিন তাকে ঐ খ্যাতি ও প্রদর্শনীর জায়গাতেই (জাহান্নামে) স্থান দিবেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮৮১।
আর গীবতের ক্ষতিসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো- যার গীবত করা হয় তার আমলনামায় গীবতকারীর সওয়াব চলে যায় এবং গীবতকারীর আমলনামায় যার গীবত করা হয় তার গুনাহ চলে আসে। এজন্যই হযরত হাসান বসরি রহ. এর সম্পর্কে প্রশিদ্ধ আছে যে, তিনি যখন শুনতে পেতেন তার সম্পর্কে কেউ গীবত করেছে, তখন তিনি সেই ব্যক্তির জন্য অনেক ফল-ফ্রুট ও বিভিন্ন মিষ্টান্ন দ্রব্যাদি হাদিয়া পাঠিয়ে দিতেন এবং বলতেন যে, “মাশাআল্লাহ তিনি আমার অনেক উপকার করেছেন। এত কষ্ট করে সওয়াব অর্জন করে তিনি আমাকে সেই সওয়াব দিয়ে দিয়েছেন তার জন্য সামান্য কিছু হাদীয়া পাঠানো আমার অবশ্যই কর্তব্য হয়ে পড়েছে।”
আর যেভাবে আল্লাহ তাআলা কুরআনের মধ্যে বলেছেন-
وَلَا يَغۡتَب بَّعۡضُكُمۡ بَعۡضًاؕ..
“তোমরা একে অপরের গীবত করোনা।”
আল্লাহর এই বাণী আমাদের জন্য পালন করা ফরজ। আর ফরজ যদি আমরা পালন না করি, তাহলে আমাদের গুনাহ হবে। যাদের দোষ বর্ণনা করা যায় গীবত নিঃসন্দেহে হারাম। তারপরও যাদের দোষ বর্ণনা করা যায় তা হচ্ছে-
# কোনো অত্যাচারীর অত্যাচারের কাহিনী প্রতিকারের আশায় বর্ণনা করা।
# সন্তান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে তার পিতা ও স্বামীর কাছে অভিযোগ করা।
# ফতোয়া গ্রহণ করার জন্য ঘটনার বিবরণ দেয়া, প্রয়োজন ও উপযোগিতার কারণে কারো দোষ বর্ণনা করা জরুরি।
# আবার যাদের স্বভাব গীবত করা তাদের সম্পর্কে অন্যদের সাবধান করার জন্য তার দোষ বর্ণনা করা জায়েয। যেমন উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদা এক ব্যক্তি (মাখরামা ইবনে নওফেল) নবী কারীম সা. এর কাছে সাক্ষাতের অনুমতি প্রার্থনা করলেন। তখন তিনি বললেন, তাকে আসার অনুমতি দাও, সে গোত্রের কতই না নিকৃষ্ট লোক। তারপর তিনি তার সাথে প্রশস্ত চেহারায় তাকালেন এবং হাসিমুখে কথা বললেন। এবং লোকটি চলে গেলে রাসূল সা. -কে আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি তার সম্পর্কে এমন কথা বলেছেন, তারপর আপনিই প্রশস্ত চেহারায় তার প্রতি তাকালেন এবং হাসিমুখে কথা বললেন। এ কথা শুনে রাসূল সা. বললেন, হে আয়েশা, তুমি কি কখনো আমাকে অশ্লীলভাষী পেয়েছ? নিশ্চয়ই কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার কাছে মর্যাদার দিক দিয়ে সর্বাধিক নিকৃষ্ট সেই লোক হবে, যাকে মানুষ তার অনিষ্টের ভয়ে ত্যাগ করেছে। [বুখারি, মুসলিম]
গীবত করার কারণঃ-
মানুষ সবসময় নিজেকে বড় করে দেখে, এই আমিত্বের আরেক নাম আত্মপূজা। এটা শুরু হয়ে গেলে আত্মপ্রীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তখন তার আত্মত্যাগের মতো মহৎ বৈশিষ্ট্য দূরিভূত হতে থাকে। ফলে এ স্থানে দানা বাঁধে হিংসা-বিদ্বেষ। আবার হিংসা-বিদ্বেষ থেকেই অপরের প্রতি কুধারণার সৃষ্টি হবে, যা মানুষকে গীবত করতে বাধ্য করে। সুতরাং আত্মপূজা, আত্মপ্রীতি, হিংসা-বিদ্বেষ, কুধারণাই মানুষকে গীবত করতে বাধ্য করে।
বেঁচে থাকার উপায়ঃ-
গীবত থেকে বেঁচে থাকা অত্যন্ত জরুরি। এ থেকে বাঁচার প্রথম উপায় হচ্ছে অপরের কল্যাণ কামনা করা। কেননা, রাসূল সা. বলেছেন, ‘দীন হচ্ছে নিছক কল্যাণ কামনা করা।’ [বুখারি ও মুসলিম]
দ্বিতীয়ত, আত্মত্যাগ অর্থাৎ যেকোনো প্রয়োজনে অপর ভাইকে অগ্রাধিকার দেয়া। যেমন আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেছেন-‘তারা নিজের ওপর অন্যদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেয়, যদিও তারা অনটনের মধ্যে থাকে।’ [সূরা হাশর : ৯]
তৃতীয়ত, অপরের অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়া।
চতুর্থত, মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী বেশি বেশি করে অধ্যয়ন করা।
আমাদের সবসময় আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে তিনি যেন অনুগ্রহ করে গীবতের মতো জঘন্য সামাজিক ব্যাধিতে আমাদের নিমজ্জিত হতে না দেন। এ ক্ষেত্রে জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সর্বাগ্রে। কেননা, রাসূল সা. বলেছেন, ‘বান্দা যখন ভোরে নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয় তখন শরীরের সব অঙ্গ জিহ্বার কাছে আরজ করে, তুমি আমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো, আল্লাহর নাফরমাণী কাজে পরিচালিত করো না। কেননা, তুমি যদি ঠিক থাক, তবে আমরা সঠিক পথে থাকব। কিন্তু যদি তুমি বাঁকা পথে চলো, তবে আমরাও বাঁকা হয়ে যাবো। [তিরমিযী]
রাসূল সা. অন্যত্র বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার জন্য তার জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের জিম্মাদার হবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হবো।’ [বুখারি]
তাই পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, আসুন আমরা সকলে জীবনে আর কারো গীবত না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এবং সদা-সর্বদা আমাদের কথা ও কাজে গীবত এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন। আমীন।
Comments
Post a Comment