আমরা কেন একজন স্রষ্টাকে মানব?

একমাত্র আল্লাহর জন্যই কেন ইবাদত করব?
**************************************
পৃথিবীতে আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হচ্ছে বা ভবিষ্যতে করা  হবে, তাদের মধ্যে জড় পদার্থ রয়েছে। যেমন, পাথর, কাঠ এবং অন্যান্য ধাতুর তৈরী মূর্তি এ সবই বোধ শক্তিহীন। আর কিছু আল্লাহর নেক বান্দাও মা'বূদ হিসেবে রয়েছেন, যাঁরা জ্ঞানসম্পন্ন যেমন, উযায়ের (আ.), ঈসা মাসীহ (আঃ) এবং অন্যান্য আল্লাহর নেক বান্দাগণ। অনুরূপ ফিরিশতা ও জিনদের পূজারীও থাকবে। মহান আল্লাহ বোধশক্তিহীন নির্জীব জড় পদার্থকেও অনুভবশক্তি, বোধশক্তি ও বাকশক্তি দান করবেন এবং ঐ সকল মা'বূদদেরকে কেয়ামতের দিন জিজ্ঞাসা করবেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, 
وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ, فَيَقُولُ أَأَنْتُمْ أَضْلَلْتُمْ عِبَادِي هَؤُلَاءِ أَمْ هُمْ ضَلُّوا السَّبِيلَ,,,
যেদিন তিনি অংশীবাদীদেরকে একত্রিত করবেন এবং ওরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের উপাসনা করত তাদেরকেও, সেদিন তিনি তাদের উপাস্যগুলিকে জিজ্ঞাসা করবেন, ‘তোমরাই কি আমার বান্দাগণকে বিভ্রান্ত করেছিলে, না ওরা নিজেরাই পথভ্রষ্ট হয়েছিল?”( সূরা ফোরকান, আয়াত-১৭)।
এ আয়াতে  আল্লাহ বলেন, কাফের-মুশরিকদেরকে বিচার করার জন্য কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের উপাস্যদের  তলব করবেন। সেদিন জিন, ফেরেশতা এমনকি আল্লাহর নবী হযরত ঈসা (আ.) কে ও  ডাকবেন এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন, তোমরাই কি আমার এই বান্দাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিলে, নাকি তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত হয়েছিল? এমন একটি প্রশ্ন কোরানে ঈসা (আ.) সম্পর্কে এসেছে। সেখানে তায়ালা আল্লাহ বলেন,
 وَاِذۡ قَالَ اللّٰهُ يٰعِيۡسَى ابۡنَ مَرۡيَمَ ءَاَنۡتَ قُلۡتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُوۡنِىۡ وَاُمِّىَ اِلٰهَيۡنِ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ‌ؕ 
হে মরিয়ম পুত্র ঈসা! তুমি কি লোকদেরকে বলে দিয়েছিলে, আল্লাহকে ছেড়ে  তোমার ও তোমার মায়ের উপাসনা করতে?
এ প্রশ্নের উত্তরে কাফের-মুশরিকদের উপাস্যরা যে জবাব দেবে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সকল উপাস্যরা সেদিন বলবে, হে আল্লাহ আমরা তোমাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করিনি। যখন আমরা নিজেরাই তুমি ছাড়া আর কারো উপাসনা করিনি তখন অন্যদেরকে কিভাবে আমাদের পূজা করতে বলব? কীভাবে তোমার বিরুদ্ধাচরণ করব?
মুশরিকদেরকে লাঞ্ছিত করার জন্য আল্লাহ তাআলা আবার ফিরিশতাদেরকে এ কথা জিজ্ঞাসা করবেন। 
وَ یَوۡمَ یَحۡشُرُہُمۡ جَمِیۡعًا ثُمَّ یَقُوۡلُ لِلۡمَلٰٓئِکَۃِ اَہٰۤؤُلَآءِ اِیَّاکُمۡ کَانُوۡا یَعۡبُدُوۡن۰
আর স্মরণ করুন, যেদিন তিনি এদের সকলকে একত্রিত করবেন এবং ফিরিশতাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন, ‘এরা কি তোমাদেরই পূজা করত?’ সূরা সাবা আয়াত ৪০।
আল্লাহ্ তা'আলা একইভাবে শয়তান জিনদেরকে সম্বোধন করে তাদের অপরাধ ব্যক্ত করবেন এবং বলবেন, 
وَ یَوۡمَ یَحۡشُرُہُمۡ جَمِیۡعًا ۚ یٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ قَدِ اسۡتَکۡثَرۡتُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ ۚ 
আর যেদিন তিনি তাদের সবাইকে একত্র করবেন এবং বলবেন, হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো অনেক লোককে পথভ্রষ্ট করেছিলে। সূরা আন আম আয়াত ১২৮।
এ সব আয়াতে হাশরের ময়দানে সব ফিরিস্তা, জিন ও মানব জাতীকে একত্রিত করার পর তাদের দলের সম্পর্কে যে প্রশ্ন করা হবে সেই প্রশ্ন ও উত্তর বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ্ তা'আলা শয়তান জিনদেরকে সম্বোধন করে তাদের অপরাধ ব্যক্ত করবেন এবং বলবেন, তোমরা মানব জাতিকে পথভ্রষ্ট করার কাজে ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছ। তাদেরকে তোমরা আল্লাহর পথ থেকে দূরে রেখেছ। আর তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলে। তোমরা মানুষদেরকে পথভ্রষ্ট করে জাহান্নামের দিকে ধাবিত করেছ। 
সুতরাং আজ তোমাদের উপর আমার লা'নত অবশ্যম্ভাবী, আমার শাস্তি অপ্রতিরোধ্য। তোমাদের অপরাধ অনুপাতে আমি তোমাদেরকে শাস্তি দিব। কিভাবে তোমরা আমার নিষিদ্ধ বিষয়ে অগ্রগামী হলে?

মানব জাতী সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্যঃ-
ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী মানবসৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত করা। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, 
 وَمَا خَلَقۡتُ الۡجِنَّ وَالۡاِنۡسَ اِلَّا لِيَعۡبُدُوۡنِ,,,
‘আমি মানুষ ও জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছি, যেন তারা শুধু আমারই ইবাদত করে।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ৫৬)।
যদি ও আল্লাহ তাআলা মানব ও জিন জাতিকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তবে সব সৃষ্টি তারই এবাদত করে নিজ নিজ জায়গা থেকে কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন,
 تُسَبِّحُ لَهُ السَّمٰوٰتُ السَّبۡعُ وَالۡاَرۡضُ وَمَنۡ فِيۡهِنَّ‌ؕ وَاِنۡ مِّنۡ شَىۡءٍ اِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمۡدِهٖ وَلٰكِنۡ لَّا تَفۡقَهُوۡنَ تَسۡبِيۡحَهُمۡ‌ؕ اِنَّهٗ كَانَ حَلِيۡمًا غَفُوۡرًا‏,,,
তাঁর পবিত্রতা তো বর্ণনা করছে সাত আকাশ ও পৃথিবী এবং তাদের মধ্যে যা কিছু আছে সব জিনিসই। এমন কোন জিনিস নেই যা তাঁর প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে না, কিন্তু তোমরা তাদের পবিত্রতা ও মহিমা কীর্তন বুঝতে পারো না। আসলে তিনি বড়ই সহিষ্ণু ও ক্ষমাশীল।
সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ৪৪।
ইচ্ছাগত তাসবীহ তো শুধু ফেরেশতা এবং ঈমানদার জিন ও মানবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু সৃষ্টিগতভাবে আল্লাহ্ তাআলা জগতের প্রত্যেকটি অণু-পরমাণুকে তাসবীহ পাঠকারী বানিয়ে রেখেছেন। [ইবন কাসীর] 
কিন্তু তাদের এই সৃষ্টিগত ও বাধ্যতামূলক তাসবীহ সাধারণ মানুষের শ্রুতিগোচর হয়না। এ আয়াতেই বলা হয়েছে,
 وَلَٰكِنْ لَا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ
এ উক্তি এ কথা প্রমাণ করে যে, প্রত্যেক বস্তুর সৃষ্টিগত তাসবীহ এমন জিনিস, যা সাধারণ মানুষ বুঝতে সক্ষম নয়। অবস্থাগত তাসবীহ তো বিবেকবান ও বুদ্ধিমানরা বুঝতে পারে। এ থেকে জানা গেল যে, এই তাসবীহ পাঠ শুধু অবস্থাগত নয়, সত্যিকারের; কিন্তু আমাদের বোধশক্তি ও অনুভূতির ঊর্ধ্বে। তাছাড়া মু'জেযা ও কারামত হিসেবে কখনও কখনও অচেতন বস্তু সমূহের তাসবীহও আল্লাহ্ তা'আলা মাঝে মধ্যে শুনিয়ে থাকেন।
যেমন, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে খাবার খেতাম, এমতাবস্থায় আমরা খাবারের তাসবীহও শুনতাম।” 
[বুখারীঃ ৩৫৭৯]।
অনুরূপভাবে মরা শুকনো খেজুরগাছ কাঠ উস্তুনে হান্নানার কান্না। [বুখারী: ৩৫৮৩]।
মক্কার এক পাথর কর্তৃক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সালাম দেয়া। [মুসলিম: ২২৭৭]।
বলাবাহুল্য, এই ভয়-ভীতি তাদের চেতনা ও অনুভূতির পরিচায়ক। চেতনা ও অনুভূতি থাকলে তসবীহ পাঠ করা অসম্ভব নয়।
আল্লাহ তায়ালা বান্দার এবাদতের মুখাপেক্ষী নয়। আমরা ইবাদত করলে আল্লাহর উপকার হবে তা নয়, আমরা যে ব্যবসা করি এর মধ্যে একটি উদ্দেশ্য থাকে কি সেটা হচ্ছে লাভবান হওয়া। আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এটার পেছনে কি এরকম কোন উদ্দেশ্য আছে? না না। 
যদি এ পৃথিবীর সব সৃষ্টি মিলে তার এবাদত করে তার রাজত্ব একটুও  যেমন বাড়বে না, তেমনি সবাই মিলে যদি একসাথে নাফরমানি করে তবুও তার কোন রাজত্বের ক্ষতি হবেনা। এবাদত করা আর না করার লাভ-ক্ষতি বান্দার, আল্লাহর কাছে শুধু বান্দার পরীক্ষার প্রমাণ হবে।
সুতরাং তোমরা যে এবাদত করবা এটা লাভ-ক্ষতি শুধু তোমাদের। লাভ হলেও তোমাদের ক্ষতি হলেও তোমাদের।

আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির প্রতি অমুখাপেক্ষীঃ-
আল্লাহ তায়ালা বলেন, 
يَا أَيُّهَا النَّاسُ أَنْتُمُ الْفُقَرَاءُ إِلَى اللَّهِ وَاللَّهُ هُوَ الْغَنِيُّ الْحَمِيدُ,,,
হে মানুষ! তোমরা আল্লাহর মুখাপেক্ষী। আর আল্লাহ; তিনি অভাবমুক্ত, প্রশংসিত।” (৩৫:১৫)।
এই আয়াতে বলা হচ্ছে তোমরা ভেবো না যে, তোমাদের ইবাদত আল্লাহর কোনো কাজে আসবে। বরং, তিনি সর্বাবস্থায় অভাবমুক্ত কিন্তু তোমরা প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর মুখাপেক্ষী। যখন তোমরা ছিলে না তখনও আল্লাহ ছিলেন এবং যখন তোমরা থাকবে না তখনও তিনি থাকবেন। 
কেউ যদি সূর্যের দিকে পেছন ফিরিয়ে ঘর তৈরি করে তাহলে সে সূর্যের কোনো ক্ষতি করতে পারে না বরং এর ফলে সে নিজেই সূর্যের আলো থেকে বঞ্চিত হয়। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি জানালা খুলে দিয়ে ঘরে সূর্যের আলো প্রবেশ করায় সে এই আলোর সুবিধা গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। এতে করে সূর্যের কোনো উপকার হয় না।

আমরা একমাত্র তার এবাদত কেন করব?
কারণ তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা, তিনি আমাদের রিযিকদাতা, তিনি আমাদের হায়াত মওতের অধিকারী। আমরা আল্লাহর এবাদত কেন করব? আমাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত যে নেয়ামতে ভরপুর করে দিয়েছেন তার নেয়ামতের শুকরিয়া আদায়ার্থে তার এবাদত করতে হবে। 
তবে তোমাদের ইবাদত তো দূরের কথা তোমাদের অস্তিত্বেরই কোনো প্রয়োজন আল্লাহর নেই। যদি তিনি নামাজের আদেশ দিয়ে থাকেন তা দিয়েছেন এজন্য যে, নামাজের মাধ্যমে তোমাদের তাঁর কাছে নিজেদের প্রয়োজন বর্ণনা করে তা তাঁর কাছে চাইতে পারো। এমন কারো কাছে চাইতে যেও না যাদের পক্ষে কিছু দেয়া সম্ভব নয়।
উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক যখন শিক্ষার্থীকে বাড়ির কাজ করে আনতে বলেন তখন এর অর্থ এই নয় যে, এই বাড়ির কাজ শিক্ষকের প্রয়োজন। বরং তিনি চান শিক্ষার্থী কিছু শিখে নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করুক।

আমরা যে কারণে তার ইবাদত করিঃ-
১. আল্লাহই একমাত্র মালিক,
২. তার নির্দেশ পালনার্থে,
৩. আমরা আল্লাহকে ভালোবাসি বলে,
৪. আল্লাহকে ভয় করি বলে,
৫. আমরা একমাত্র তারই মোহতাজ / পাওয়ার আশা করি। 
৬. রাসূলের আনুগত্য করার শর্তে, 
৭. তার সাক্ষাৎ করতে চাই বলে,
৮. ফেরেশতারা সহ সমস্ত সৃষ্টি ও তার এবাদত করে,
৯. আমরা তার কাছ থেকে জান্নাত চাই,
১০. এবাদত করা আল্লাহর পাওনা।
এইজন্য আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يٰٓاَيُّهَا النَّاسُ اعۡبُدُوۡا رَبَّكُمُ الَّذِىۡ خَلَقَكُمۡ وَالَّذِيۡنَ مِنۡ قَبۡلِكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَتَّقُوۡنَ ۙ‏
 হে মানব জাতি। ইবাদাত করো তোমাদের রবের, যিনি তোমাদের ও তোমাদের পূর্বে যারা অতিক্রান্ত হয়েছে তাদের সবার সৃষ্টিকর্তা, এভাবেই তোমরা নিষ্কৃতি লাভের আশা করতে পারো। সূরা বাকারাহ, আয়াত ২১।
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, 
يَا أَيُّهَا النَّاسُ اذْكُرُوا نِعْمَةَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ هَلْ مِنْ خَالِقٍ غَيْرُ اللَّهِ يَرْزُقُكُمْ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ فَأَنَّى تُؤْفَكُونَ,,,
“হে মানুষ, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর। আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক দান করে? তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব তোমরা কীভাবে তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ?”(৩৫:৩)।এই আয়াতে মানুষের সৃষ্টি ও তাকে রিজিক দানের ক্ষেত্রে আল্লাহর একক কর্তৃত্বের কথা উল্লেখ করে বলা হচ্ছে: আসমান ও জমিন থেকে তোমাদের প্রতি যেসব অনুগ্রহ নাজিল হয় তা আসে এক আল্লাহরই পক্ষ থেকে। যে আল্লাহ তায়ালা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তিনিই তোমাদেরকে রিজিক দান করেন।
বিষয়টি এরকম নয় যে, তোমাদেরকে এক আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন এবং অন্য কেউ তোমাদেরকে রিজিক দান করেন। তিনি ছাড়া যেমন কোনো স্রষ্টা নেই তেমনি তোমাদের রিজিকও তিনি ছাড়া অন্য কারো হাতে নেই। কাজেই হে মানুষ! আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছ থেকে যদি রিজিক আশা করো তাহলে তোমরা বিভ্রান্তিতে পতিত হবে।
এখানে রিজিক বলতে আমরা যা খাই শুধুমাত্র তার কথা বোঝানো হয়নি বরং আমাদের জীবন চলার জন্য যাবতীয় প্রয়োজনের কথা বোঝানো হয়েছে। 
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে একত্ববাদ বিশ্বাস করে একমাত্র তারই ইবাদত করার তৌফিক দান করুন। 


Comments