আমল অল্প হলেও পরকালের জন্য সঞ্চয় করা আবশ্যকঃ-
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا اتَّقُوۡا اللّٰهَ وَلۡتَنۡظُرۡ نَفۡسٌ مَّا قَدَّمَتۡ لِغَدٍۚ وَّاتَّقُوۡا اللّٰهَؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِيۡرٌۢ بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ
হে ঈমানদাররা, আল্লাহকে ভয় করো। আর প্রত্যেকেই যেন লক্ষ রাখে, সে আগামীকালের জন্য কি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আল্লাহ নিশ্চিতভাবেই তোমাদের সেই সব কাজ সম্পর্কে অবহিত যা তোমরা করে থাক।
সুরা হাশর আয়াত:১৮।
এখানে আগামীকাল অর্থ আখেরাত। দুনিয়ার এই গোটা জীবনকাল হলো, ‘আজ’ এবং কিয়ামতের দিন হলো আগামীকাল যার আগমণ ঘটবে আজকের এই দিনটির পরে। এ ধরনের বাচনভঙ্গির মাধ্যমে আল্লাহ তা’আলা অত্যন্ত বিজ্ঞোচিতভাবে মানুষকে বুঝিয়েছেন যে, ক্ষণস্থায়ীর আনন্দ উপভোগ করার জন্য যে ব্যক্তি তার সবকিছু ব্যয় করে ফেলে এবং কাল তার কাছে ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাদ্য আর মাথা গুঁজবার ঠাই থাকবে কিনা সে কথা চিন্তা করে না সেই ব্যক্তি এ পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় নির্বোধ।
ঠিক তেমনিভাবে ঐ ব্যক্তিও নিজের পায়ে কুঠারাঘাত করছে যে তার পার্থিব জীবন নির্মাণের চিন্তায় এতই বিভোর যে আখেরাত সম্পর্কে একেবারেই গাফেল হয়ে গিয়েছে। অথচ আজকের দিনটির পরে কালকের দিনটি যেমন অবশ্যই আসবে তেমনি আখেরাতও আসবে। আর দুনিয়ার বর্তমান জীবনে যদি সে সেখানকার জন্য অগ্রিম কোন ব্যবস্থা না করে তাহলে সেখানে কিছুই পাবে না।
এর সাথে দ্বিতীয় জ্ঞানগর্ভ ও তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, এ আয়াতে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার নিজের হিসেব পরীক্ষক বানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত কোন ব্যক্তির নিজের মধ্যে ভাল এবং মন্দের পার্থক্যবোধ সৃষ্টি না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আদৌ সে অনুভব করতে পারে না যে, সে যা কিছু করছে তা তার আখেরাতের জীবনকে সুন্দর ও সুসজ্জিত করছে, না ধ্বংস করছে। তার মধ্যে এই অনুভূতি যখন সজাগ ও সচেতন হয়ে ওঠে তখন তার নিজেকেই হিসেব-নিকেশ করে দেখতে হবে, সে তার সময়, সম্পদ, শ্রম, যোগ্যতা এবং প্রচেষ্টা যে পথে ব্যয় করছে তা তাকে জান্নাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে না জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়টি বিবেচনা করা তার নিজের স্বার্থেই প্রয়োজন, অন্যথায় সে নিজের ভবিষ্যত নিজেই ধ্বংস করবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
وَاعْبُدْ رَبَّكَ حَتّٰى يَأْتِيَكَ الْيَقِيْنُ
‘তোমার মৃত্যু উপস্থিত হওয়া পর্যন্ত তোমার রবের ইবাদাত করো।’ [সুরা হিজর, আয়াত- ৯৯]
যেকোনো ইবাদতের উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা, আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। সেজন্য আল্লাহ তার নৈকট্য লাভের উপায় হিসেবে ইবাদতের মধ্যে ফরজ দায়িত্বগুলোর পাশাপাশি নফল ইবাদতের পথ খোলা রেখেছেন। যাতে তার প্রিয় বান্দারা বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে নিজেদের অবস্থানকে অনেক বেশি মর্যাদাবান ও উচ্চতর করে তুলতে পারে।
নফল ইবাদতের উদ্দেশ্য হলো কারও ফরজ ইবাদতে যদি কোনো ভুলত্রুটি হয় তাহলে নফল ইবাদত সেসব ভুলত্রুটির স্থান পূর্ণ করে দেয়। আল্লাহ তায়ালা ফরজ নামাজকে নফল নামাজ দিয়ে এবং ফরজ রোজাকে নফল রোজা দিয়ে আর ফরজ যাকাতকে নফল সদকার মাধ্যমে পূর্ণতা দিয়েছেন।
অনেককে দেখা যায়, কোনো আমলের প্রতি উৎসাহিত হয়ে প্রথমে খুব বেশি পরিমাণে আমলটি করা হয়, কিন্তু ক’দিন বাদে আর সেটা ভালো লাগে না। অথচ যে কোনো আমল চাই তা ফরজ হোক কিংবা নফল, নিয়মিত করা চাই। যে আমল নিয়মিত করা হয় না, সেটার কোনো গুরুত্ব থাকে না। বালেগ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত টানা আমল করে যেতে হবে এটাই আল্লাহর নির্দেশ।
নামাজ এক ওয়াক্ত পড়ে আরেক ওয়াক্ত না পড়া, এরকম নামাজ সুফল বয়ে আনবে না। আল্লাহ তায়ালা বলেন,
اَلَّذِيْنَ هُمْ عَلٰى صَلَاتِهِمْ دَائِمُوْنَ
‘(সফলকাম তারা) যারা তাদের নামাযে সদা নিয়মানুবর্তিতা অবলম্বনকারী।’ [সুরা মায়ারিজ : ২৩]।
যে ব্যক্তি তাহাজ্জুদের নামাজ শুরু করে ছেড়ে দেয় তার সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন,
يَا عَبْدَ اللهِ، لَا تَكُنْ مِّثْلَ فُلَانٍ، كَانَ يَقُوْمُ اللَّيْلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيْلِ
‘হে আবদুল্লাহ! তুমি অমুক লোকের মতো হয়ো না, যে রাত জেগে ইবাদাত করত, পরে বাদ দিয়েছে।’ [সহিহ বুখারি : ১১৫২]।
স্থায়ী আমল আল্লাহর নিকট সবচেয়ে বেশি পছন্দনীয়। রাসুল (সা.) ধারাবাহিক আমলে খুবই যত্নশীল ছিলেন। এজন্য নবীজী এরশাদ করেছেন,
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ أَىُّ الْعَمَلِ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ قَالَ " أَدْوَمُهُ وَإِنْ قَلَّ " .
হযরত ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে এ মর্মে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, আল্লাহ তা'আলার কাছে কোন্ ধরনের 'আমাল সবচাইতে বেশী প্রিয়। জবাবে তিনি বলেছিলেন, কম হলেও যে 'আমাল স্থায়ী।
(সে 'আমাল আল্লাহ তা'আলার কাছে সবচাইতে বেশী প্রিয়)। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৭১৩।
এ জন্য রাসুল দঃ কখনো কখনো তাহাজ্জুদ নামাজেরও কাজা পড়েছেন। সুন্নত নামাজও ছুটে গেলে পরে আদায় করে নিয়েছেন।
হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) যদি অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে কোনো রাতে তাহাজ্জুদ আদায় করতে না পারতেন, তখন তিনি পরের দিন ১২ রাকাত নামাজ আদায় করতেন।’(মুসলিম, হাদিস : ১১৮১)।
হযরত উম্মে সালমা (রা.) থেকে বর্ণিত, একদিন রাসুল (সা.) আসরের পর আমার গৃহে আগমন করেছেন। তারপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম,
‘হে আল্লাহর রাসুল! এটি কোন নামাজ? এর আগে তো কখনোই আপনি এ সময়ে নামাজ আদায় করেননি!’
রাসুল (সা.) বলেন, ‘জোহরের পর বনি তামিম গোত্রের একদল প্রতিনিধি আগমন করেছিল, ফলে আমি জোহরের পরের দুই রাকাত (সুন্নত) নামাজ আদায় করতে পারিনি। (তাই আমলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য আসরের পর তা আদায় করলাম)।’ (সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস : ১২৭৭)।
ধারাবাহিক আমলের উপকারিতাঃ-
আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনঃ-
ধারাবাহিক আমলে আল্লাহর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি একজন মুমিনের পরম পাওয়া। হাদিসে কুদসিতে আছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لأعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ
হযরত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, আল্লাহ্ বলেন, যে ব্যক্তি আমার কোন ওলীর সঙ্গে দুশমনি রাখবে, আমি তার সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করব। আমি যা কিছু আমার বান্দার উপর ফরয করেছি, তা দ্বারা কেউ আমার নৈকট্য লাভ করবে না। আমার বান্দা সর্বদা নফল ‘ইবাদাত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমন কি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই যে, আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কিছু চায়, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি কোন কাজ করতে চাইলে তা করতে কোন দ্বিধা করি-না, যতটা দ্বিধা করি মু’মিন বান্দার প্রাণ নিতে। কারণ সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি দুনিয়াতে তার বেঁচে থাকাকে অপছন্দ করি।
(আধুনিক প্রকাশনী- ৬০৫২,
ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬০৫৮)।
ফুটনোটঃ- হাদীসটিতে খাঁটি বান্দার গুণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে যার প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আল্লাহ্র নির্দেশের বাহিরে তিল পরিমাণও অগ্রসর হয় না। বান্দা মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর ওদিকে আল্লাহ্ বলেন-
"ওহে প্রশান্তিময় আত্মা! চলে আসো তোমার প্রতিপালকের কাছে সন্তুষ্টি সহকারে এবং সন্তোষের পাত্র হয়ে আমার (সম্মানিত) বান্দাদের মধ্যে প্রবেশ কর আর প্রবেশ কর আমার জান্নাতে- (আল ফজর-২৯-৩০)। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৬৫০২
আমলের অপারগতায়ও সওয়াবঃ-
ধারাবাহিক আমলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফায়দা হচ্ছে বিশেষ অপারগতায় ও অসুস্থতায়ও আমলের সওয়াব লেখা হতে থাকে।
عَنَ أَبُوْ بُرْدَةَ سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى مِرَارًا يَقُوْلُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ مِثْلُ مَا كَانَ يَعْمَلُ مُقِيْمًا صَحِيْحًا
আবূ বুরদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমি আবূ মুসা (আশ’আরী) (রাঃ)- কে একাধিকবার বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যখন বান্দা পীড়িত হয় কিংবা সফরে থাকে, তখন তাঁর জন্য তা-ই লেখা হয়, যা সে সুস্থ অবস্থায় ধারাবাহিক ‘আমল করত। সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২৯৯৬।
ধারাবাহিক আমলের ওপর স্থির থাকার উপায়ঃ-
নেককার বান্দাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করাঃ-
আল্লাহর প্রিয় বান্দারা হলেন কল্যাণের চাবিকাঠি। তাদের সান্নিধ্য ও পরামর্শ নিয়ে আমল করতে পারলে আমলের অলসতা থেকে কিছুটা বাঁচা যায়।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " إِنَّ مِنَ النَّاسِ مَفَاتِيحَ لِلْخَيْرِ مَغَالِيقَ لِلشَّرِّ وَإِنَّ مِنَ النَّاسِ مَفَاتِيحَ لِلشَّرِّ مَغَالِيقَ لِلْخَيْرِ فَطُوبَى لِمَنْ جَعَلَ اللَّهُ مَفَاتِيحَ الْخَيْرِ عَلَى يَدَيْهِ وَوَيْلٌ لِمَنْ جَعَلَ اللَّهُ مَفَاتِيحَ الشَّرِّ عَلَى يَدَيْهِ " .
হযরত আনাস বিন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, নিশ্চয় কতক লোক আছে, যারা কল্যাণের চাবিকাঠি এবং অকল্যাণের দ্বার রুদ্ধকারী। পক্ষান্তরে এমন কতক লোকও আছে যারা অকল্যাণের দ্বার উন্মোচনকারী এবং কল্যাণের পথ রুদ্ধকারী। সেই লোকের জন্য সুসংবাদ যার দু’ হাতে আল্লাহ্ কল্যাণের চাবি রেখেছেন এবং সেই লোকের জন্য ধ্বংস যার দু’ হাতে আল্লাহ্ অকল্যাণের চাবি রেখেছেন। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৩৭।
ভারসাম্যপূর্ণ আমল করাঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم " يَعْقِدُ الشَّيْطَانُ عَلَى قَافِيَةِ رَأْسِ أَحَدِكُمْ ثَلاَثَ عُقَدٍ إِذَا نَامَ بِكُلِّ عُقْدَةٍ يَضْرِبُ عَلَيْكَ لَيْلاً طَوِيلاً فَإِذَا اسْتَيْقَظَ فَذَكَرَ اللَّهَ انْحَلَّتْ عُقْدَةٌ وَإِذَا تَوَضَّأَ انْحَلَّتْ عُقْدَتَانِ فَإِذَا صَلَّى انْحَلَّتِ الْعُقَدُ فَأَصْبَحَ نَشِيطًا طَيِّبَ النَّفْسِ وَإِلاَّ أَصْبَحَ خَبِيثَ النَّفْسِ كَسْلاَنَ "
হযরত আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি এটি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পর্যন্ত পৌছিয়েছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন নিদ্রা যায় তখন শাইত্বন তাঁর মাথার শেষ প্রান্তে অর্থাৎ ঘাড়ে তিনটা গিরা দেয়। প্রত্যেকটা গিরাতে সে ফুঁক দিয়ে বলে, এখনো অনেক রাত আছে (ঘুমিয়ে থাক) তাই যখন সে ঘুম থেকে জেগে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। এরপর সে ওযু করলে আরো একটি গিরাসহ মোট দু’টি গিরা খুলে যায়। আর যখন সে (তাহাজ্জুদের ) সলাত আদায় করে তখন সবগুলো গিরা খুলে যায়। এভাবে সে কর্মতৎপর ও প্রফুল্ল মনের অধিকারী হয়ে সকাল জেগে উঠে। অন্যথায় মানুষ বিমর্ষ ও অলস মন নিয়ে জেগে উঠে।(মুসলিম, হাদিস : ১৭১২)
মহান আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।
Comments
Post a Comment