আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইওনাঃ-
আমরা মানুষ। ভুল করি, ভুল হয়ে যায়। জেনে না জেনে আমরা অনেক গুনাহই করে ফেলি। অনেক সময় সাময়িক আবেগ বা প্রয়োজনের বশে আমাদের দ্বারা এই গুনাহগুলো হয়। আবার গুনাহ করার পরেই আমাদের মনে অনুশোচনাও জাগে। আমরা গুনাহ থেকে মুক্ত হতে চাই। গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই। কিন্তু আমরা অনেক সময়ই গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার কোন পথ বা উপায় খুঁজে পাই না।
অধিক গুনাহের ফলে কখনো হতাশা আমাদের গ্রাস করে নেয় যে, আল্লাহ হয়তো আর ক্ষমা করবেন না। এই ভেবে গুনাহ থেকে ফিরে আসি না বা আসলেও আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্কটা নতুনভাবে গড়ে নেই না। ভালো কাজ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখি। ইবাদতে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকি। আসলে এমনটা আমাদের অনেকেরই হয়।
কিন্তু আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল। তিনি বান্দার ফিরে এসে ক্ষমা চাওয়ার দৃশ্য খুবই পছন্দ করেন। তিনি আশাহত হতে নিষেধ করেছেন। হাদীস শরীফে এভাবেই এসেছে,
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَنَّ نَاسًا مِنْ أَهْلِ الشِّرْكِ كَانُوْا قَدْ قَتَلُوْا وَأَكْثَرُوْا وَزَنَوْا وَأَكْثَرُوْا فَأَتَوْا مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم فَقَالُوْا إِنَّ الَّذِيْ تَقُوْلُ وَتَدْعُوْ إِلَيْهِ لَحَسَنٌ لَوْ تُخْبِرُنَا أَنَّ لِمَا عَمِلْنَا كَفَّارَةً {وَالَّذِيْنَ لَا يَدْعُوْنَ مَعَ اللهِ إلٰهًا اٰخَرَ وَلَا يَقْتُلُوْنَ النَّفْسَ الَّتِيْ حَرَّمَ اللهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُوْنَ} وَنَزَلَتْ {قُلْ يٰعِبَادِيَ الَّذِيْنَ أَسْرَفُوْا عَلٰٓى أَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوْا مِنْ رَّحْمَةِ اللهِ ط إِنَّ اللهَ يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِيْعًا ط إِنَّه” هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِيْمُ}.
হযরত আবদুল্লাহ ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুশরিকদের কিছু লোক বহু হত্যা করে এবং বেশি বেশি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। তারপর তারা মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে এল এবং বলল, আপনি যা বলেন এবং আপনি যেদিকে আহ্বান করেন, তা অতি উত্তম। আমাদের যদি অবগত করতেন, আমরা যা করেছি, তার কাফ্ফারা কী?
এর প্রেক্ষাপটে অবতীর্ণ হয় ‘এবং যারা আল্লাহ্র সঙ্গে অন্য কোন ইলাহ্কে ডাকে না, আল্লাহ্ যাকে হত্যা করা নিষেধ করেছেন, তাকে না-হক হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। আরো অবতীর্ণ হল “হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অন্যায় করে ফেলেছ, আল্লাহ্র অনুগ্রহ থেকে নিরাশ হয়ো না।” [মুসলিম ১/৫৪, হাঃ ১২২] (আ.প্র. ৪৪৪৬, ই.ফা. ৪৪৪৭) সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৮১০।
আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেন-
قُلْ يَاعِبَادِىَ الَّذِيْنَ اَسْرَفُوْا عَلٰى اَنْفُسِهِمْ لَاتَقْنَطُوْا مِنْ رَّحْمَةِ اللهِ- اِنَّ اللهَ يَغْفِرُا الذُّنُوْبَ جَمِيْعًا-
তরজমাঃ- হে হাবীব, আপনি বলে দিন, হে আমার ওই সব বান্দা! যারা নিজেদের প্রাণের প্রতি যুলম করেছো, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ্ সব গুনাহ্ ক্ষমা করে দেন। [সূরা যুমার: আয়াত- ৫৩]।
হাদীস শরীফে আরও বর্ণিত,
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআ`লা বলেন, আমার রহমত আমার গোস্বাকে অতিক্রম করেছে। (মুসলিম) অর্থাৎ আল্লাহ তাআ`লার রহমত এত ব্যাপক যে তাঁর গোস্বা তাঁর দয়ার কাছে হার মেনেছে।
আল্লাহর রাগের তুলনায় রহমতের স্থান অনেক ব্যাপক। বিধায় বান্দা যতই রাগ হওয়ার মতো কাজ করুন না কেন, ক্ষমা চাইতে দেরি, মাপ করে দিতে দেরি করেন না।
বর্তমান সমাজে এক শ্রেণির লোক মানুষের গুনাহ দেখে বলে থাকেন- এ লোক একেবারে শেষ, জাহান্নামে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। আল্লাহর রহমত তাদের জন্য অনেক বেশি যারা তাদের অভিসম্পাত করেন। কারণ ঐ বান্দা যদি আল্লাহর দরবারে চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তাওবা করে তবে আল্লাহর রহমতের দরিয়ার ঢেউ শুরু হয়ে যায়। আল্লাহ ঐ বান্দাকে মাপ করে দেন।
উল্লেখিত আয়াতের তাফসীরঃ-
এই আয়াতে মহান আল্লাহ তাঁর মহা ক্ষমাশীলতার কথা বর্ণনা করেছেন। إسرَاف ‘ইসরাফ’ অর্থ পাপের আধিক্য ও তার প্রাচুর্য। ‘‘আল্লাহর করুণা হতে নিরাশ হয়ো না’’ এর অর্থ, ঈমান আনার পূর্বে অথবা তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করার অনুভূতি সৃষ্টি হওয়ার পূর্বে যতই গুনাহ করে থাক, মানুষ যেন এই মনে না করে যে, আমি তো অনেক বড় পাপী, আমাকে আল্লাহ কিভাবে ক্ষমা করবেন?
বরং সত্য হৃদয়ে যদি ঈমান আনে বা নিষ্ঠার সাথে যদি তওবা করে, তবে মহান আল্লাহ সমস্ত পাপকে মাফ করে দেবেন। তবে এর অর্থ এই নয় যে, আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশায় খুব পাপ করে যাব।
তাঁর যাবতীয় বিধি-বিধান ও ফরয কার্যাদির ব্যাপারে কোনই পরোয়া করো না এবং আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা ও নিয়ম- নীতি নিষ্ঠুরতার সাথে লঙ্ঘন করে যাব। এইভাবে তাঁর ক্রোধ ও প্রতিশোধকে আহবান জানিয়ে তাঁর রহমত ও ক্ষমা পাওয়ার আশা করা একেবারে বোকামি ও খামখেয়ালী। এটা হল নিম ফলের বীজ লাগিয়ে আঙ্গুর ফলের আশা রাখার মতই। এই ধরনের মানুষের স্মরণ রাখা উচিত যে, তিনি যেমন তাঁর বান্দাদের জন্য غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ তেমনি তিনি তাঁর অবাধ্যজনদের জন্য عَزِيْزٌ ذُو اْنْتِقَامٍ ও বটেন।
তাই তো কুরআন কারীমের বিভিন্ন স্থানে এই উভয় দিককে এক সাথেই বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন,
نَبِّئْ عِبَادِي أَنِّي أَنَا الْغَفُورُ الرَّحِيمُ، وَأَنَّ عَذَابِي هُوَ الْعَذَابُ الْأَلِيمُ
অর্থাৎ, আমার বান্দাদেরকে বলে দাও, নিশ্চয় আমিই চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু এবং আমার শাস্তিই হল অতি মর্মন্তুদ শাস্তি। (সূরা হিজর ৪৯-৫০ আয়াত)।
এর শানে নুযূল (অবতরণের প্রেক্ষাপট) হচ্ছে- এক দল মানুষ আরয করলো, ‘‘হে আল্লাহর হাবীব! আমাদের গুনাহ্ও কি মাফ হয়ে যাবে?’’ এর উত্তরে এ আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে এবং এতে এরশাদ হয়েছে- হে মাহবূব! আপনি বলে দিন, ‘‘হে আমার বান্দারা! যারা অপরাধ (গুনাহ) করেছো, মহান রবের রহমত থেকে নিরাশ হয়োনা, ইসলামে এসে যাও! আর এ রহমতের সমুদ্রে ডুব দাও, ফলে সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা থেকে পবিত্র হয়ে যাবে।
এ আয়াতে যেই عبادى (আমার বান্দারা) এরশাদ হয়েছে, তা দ্বারা হয়তো আল্লাহর বান্দাগণ বুঝানো উদ্দেশ্যে, তখন কিন্তু এর পূর্বে এ কয়েকটা শব্দ উহ্য মানতে হবে-
এক. يَقُوْلُ اللهُ يَاعِبَادِىْ (অর্থাৎ আল্লাহ্ বলছেন, ‘‘হে আমার বন্দারা!) কেননা, তখন তা قُلْ (আপনি বলুন)-এর সাথে সম্পৃক্ত হবে না।
দুই. اَسْرَفُوْا عَلٰى اَنْفُسَهُمْ (যারা নিজেদের প্রাণের উপর যুল্ম করেছে)- এর অর্থে এ শর্ত জুড়ে নিতে হবে যে, তা থেকে মুশরিক ও কাফিররা খারিজ থাকবে; শুধু ঈমানদারগণই তাতে শামিল থাকবে। কেননা, আল্লাহর বান্দা তো সবাই। কিন্তু মুশরিকদের শির্কের তো ক্ষমা হতে পারে না।
কারণ, অন্যত্র আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেছেন-
اِنَّ اللهَ لَايَغْفِرُ اَنْ يُشْرِكَ بِهِ-
(নিশ্চয় আল্লাহ্ এটা ক্ষমা করেন না যে, তাঁর সাথে শির্ক করা হবে।) আল্লাহ তা‘আলা শির্ক (কুফর) ক্ষমা করেন না।
অথবা, يَاعِبَادِىْ মানে রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর বান্দাগণ। অর্থাৎ তাঁর গোলামগণ। عَبْد শব্দের অর্থ عابد (আবিদ বা ইবাদতকারী) ও হতে পারে خادم (খাদিম)ও হতে পারে।
সুতরাং এখন আয়াত শরীফের অর্থ দাঁড়ায়- ‘হে মাহবূব! আপনি বলে দিন, ‘‘হে আমার গোলামরা!’’ এতদ্ভিত্তিতে, তা থেকে কাফিরগণ আপসে বের হয়ে গেলো। কেননা, হুযূর আলায়হিস্ সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর খিদমতগার তো মুসলমানগণই। এমতাবস্থায় আয়াতে কোন অতিরিক্ত বাক্য উহ্য মানার দরকার হলো না। এখন দেখুন- এ অর্থের সমর্থনে কতিপয় উদ্ধৃতি-
এক. ওহাবী-দেওবন্দীদের মান্যবর ব্যক্তি মৌলভী আশরাফ আলী থানভী সাহেব এ অর্থ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, এখানে عبادى (আমার আবদগণ!) মানে হুযূর আলায়হিস সালাতু ওয়াস্ সালাম-এর বান্দাগণ।
দুই. মসনভী শরীফও এ অর্থ নিয়েছে। যেমন-
بدهٔ خود خواند احمد در رشاد- جمله عالم را بخواں قل يا عباد
يا عبادى كهه كے هم كو شاه نے- اپنا بده كر ليا پرح تجھ كو كيا
অর্থাৎ খোদ হুযূর-ই আকরাম আহমদ মুজতাবা সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম يَاعِبَادِىْ (হে আমার বান্দাগণ) বলে আমাদেরকে তাঁর বান্দা করে নিয়েছেন। এতে তোমার ক্ষতি কি?
মাসআলাঃ- ‘আবদুন্নবী’ (عبد النبى) ও ‘আবদুর রসূল’ (عبد الرسول) ইত্যাদি নাম রাখা সম্পূর্ণ জায়েয এবং পবিত্র ক্বোরআন দ্বারা প্রমাণিত। মহান রব এরশাদ ফরমাচ্ছেন-
مِنْ عِبَادِكُمْ وَاِمَائِكُمْ
(তোমাদের খাদিম ও তোমাদের দাসীগণ!) আরবে আমভাবে বলা হয়- عَبْدِىْ অর্থাৎ আমার গোলাম।
তিন. ‘দুররুল মুখতার’ প্রণেতার ওস্তাদের ওস্তাদ মহোদয়ের নাম ‘আবদুন্নবী খলীল’ (عبد النبى خليل) (দেখুন- র্দুরুল মুখ্তার-এর ভূমিকা, যেখানে তিনি তাঁর ওস্তাদদের শাজরা (জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের পরম্পরা) উল্লেখ করেছেন।
হাদীস শরীফে এ মর্মে যেই নিষেধ এসেছে- عَبْدِىْ ও اَمَتِىْ বলো না, এ নিষেধ মুস্তাহাব নির্দেশক। যেমন- বলা হয়েছে- আঙ্গুরকে ‘কারাম’ বলো না। কেননা, ‘কারাম’ হচ্ছে মুসলিম। [বোখারী ইত্যাদি]
সাহাবা-ই কেরাম বারংবার বলেছেন- كُنْتُ عَبْدَهُ وَخَادِمَهُ (আমি তাঁর অর্থাৎ হুযূর-ই আকরামের গোলাম ও খাদিম ছিলাম)। এর পূর্ণাঙ্গ আলোচনা ‘জা-আল হক্বক্বু ওয়া যাহাক্বাল বাত্বিল’ নামক পুস্তকে দেখুন। তাতে এমন সব প্রমাণ দেওয়া হয়েছে, যেগুলোর খণ্ডন, ইন্শা-আল্লাহ্, বিরুদ্ধবাদীগণ করতে পারবে না।
لَاتَقْنَطُوْا
(তোমরা নিরাশ হয়ো না) থেকে বুঝা গেলো যে, আল্লাহর রহমত থেকে হতাশ হওয়া বান্দার জন্য শোভা পায় না, বরং নিজের গুনাহ্গুলো দেখে মহান রবকে ভয় করবে। আল্লাহর রহমতের মধ্যে গভীরভাব চিন্তা-ভাবনা করে সেটার প্রার্থী হয়ে থাকবে। আ’লা হযরত বলেন-
گنه رضا كا حساب كيا وه اگر چه لاكهوں سے هيں سوا
مره ائے عفو ترے عفو كا نه حساب هے نه شمار هے
অর্থাৎ রেযার গুনাহর আবার হিসাব কি জিনিস? তা যদিও লক্ষকেও ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু হে মহা ক্ষমাশীল, তোমার ক্ষমার না হিসাব আছে, না গণনা।
মহান পবিত্র খোদা সমস্ত গুনাহ্ ক্ষমা করবেন, কিন্তু বান্দাদের হক্বগুলোর বেলায় প্রাপকদের থেকে ক্ষমা করিয়ে নেবেন। যেমন আক্বাইদের কিতাবাদি ইত্যাদিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
হতাশ হতে বারণ করেছে ইসলাম। যারা জীবনের প্রথম পর্যায়ে খারাপ কাজ করেছে পরবর্তী সময়ে নিজের কৃতকর্মের কথা স্মরণ করে মর্মপীড়ায় ভুগছেন, তাদেরও আল্লাহ তায়ালা নিরাশ করেননি। তিনি তাদের সুপথে ফিরে আসার জন্য ক্ষমার সুসংবাদ দিয়ে বলেছেন, আল্লাহ্ তা‘আলা এরশাদ করেন-
وَلَا تَهِنُوۡا وَلَا تَحۡزَنُوۡا وَاَنۡتُمُ الۡاَعۡلَوۡنَ اِنۡ كُنۡتُمۡ مُّؤۡمِنِيۡنَ
অনেকে হতাশ হয়ে হরেক রকম নেশায় জড়ায়। এতে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যায় কিন্তু হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। নেশা করা ইসলাম ধর্মে হারাম। তাই যারা পাওয়া, না-পাওয়ার হিসাব করে জীবনে হতাশ হয়ে পড়েছে তাদের উচিত নেশা না করে ধৈর্য ধারণ করা এবং নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা। কেননা ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আল্লাহ বলেন,
يٰٓاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا اسۡتَعِيۡنُوۡا بِالصَّبۡرِ وَالصَّلٰوةِؕ اِنَّ اللّٰهَ مَعَ الصّٰبِرِيۡنَ
হে ইমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। (সূরা বাকারা : ১৫৩)। আর আল্লাহ তায়ালা যাদের সঙ্গে আছেন, তাদের দুঃখ-কষ্ট ঘায়েল করতে পারে না। আল্লাহর ইবাদত করার সৌভাগ্য ও আল্লাহর আনুগত্যে প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্য কেবল তাঁরই অনুগ্রহে লাভ করা যায়। তিনি যাকে এ ব্যাপারে সুযোগ দেবেন তিনিই কেবল তা লাভ করতে পারেন।
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরে কিছু দোয়া আছে, যে ব্যক্তি ওইগুলো পড়ে আমল করবে, সে কখনও নিরাশ বা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। রাসূল সা: মুআয ইবন জাবাল রা:কে সালাতের পরে এ কথাটি স্মরণ করে পড়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন,
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ بِيَدِهِ وَقَالَ " يَا مُعَاذُ وَاللَّهِ إِنِّي لأُحِبُّكَ وَاللَّهِ إِنِّي لأُحِبُّكَ " . فَقَالَ " أُوصِيكَ يَا مُعَاذُ لاَ تَدَعَنَّ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ تَقُولُ اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ " . وَأَوْصَى بِذَلِكَ مُعَاذٌ الصُّنَابِحِيَّ وَأَوْصَى بِهِ الصُّنَابِحِيُّ أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ .
হযরত মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার হাত ধরে বললেন, হে মু‘আয! আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই তোমাকে ভালবাসি। তিনি বললেন, হে মু‘আয! আমি তোমাকে ওয়াসিয়াত করছি, তুমি প্রত্যেক সলাতের পর এ দু‘আটি কখনো পরিহার করবে না : “আল্লাহুম্মা আঈন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিকা” (অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার স্মরণে, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এবং আপনার উত্তম ‘ইবাদাতে আমাকে সাহায্য করুন)।
অতঃপর মু‘আয (রাঃ) আস-সুনাবিহী (রহঃ)-কে এবং আস- সুনাবিহী ‘আবদুর রহমানকে এরূপ দু‘আ করার ওয়াসিয়াত করেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৫২২)।
রাসূল (সা.) হতাশাগ্রস্ত মানুষকে মানসিক প্রশান্তি লাভের জন্য কয়েকটি আমলের নির্দেশ দিয়েছেন। যা তাদের মনকে সজীব ও সতেজ করবে। অনুরূপভাবে রাসূল সা:-এর কাছে অসচ্ছল সাহাবিরা এসে বললেন,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ جَاءَ الْفُقَرَاءُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا ذَهَبَ أَهْلُ الدُّثُورِ مِنَ الأَمْوَالِ بِالدَّرَجَاتِ الْعُلاَ وَالنَّعِيمِ الْمُقِيمِ، يُصَلُّونَ كَمَا نُصَلِّي، وَيَصُومُونَ كَمَا نَصُومُ، وَلَهُمْ فَضْلٌ مِنْ أَمْوَالٍ يَحُجُّونَ بِهَا، وَيَعْتَمِرُونَ، وَيُجَاهِدُونَ، وَيَتَصَدَّقُونَ قَالَ " أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ بِأَمْرٍ إِنْ أَخَذْتُمْ بِهِ أَدْرَكْتُمْ مَنْ سَبَقَكُمْ وَلَمْ يُدْرِكْكُمْ أَحَدٌ بَعْدَكُمْ، وَكُنْتُمْ خَيْرَ مَنْ أَنْتُمْ بَيْنَ ظَهْرَانَيْهِ، إِلاَّ مَنْ عَمِلَ مِثْلَهُ تُسَبِّحُونَ وَتَحْمَدُونَ، وَتُكَبِّرُونَ خَلْفَ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ ". فَاخْتَلَفْنَا بَيْنَنَا فَقَالَ بَعْضُنَا نُسَبِّحُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، وَنَحْمَدُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ، وَنُكَبِّرُ أَرْبَعًا وَثَلاَثِينَ. فَرَجَعْتُ إِلَيْهِ فَقَالَ " تَقُولُ سُبْحَانَ اللَّهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، حَتَّى يَكُونَ مِنْهُنَّ كُلِّهِنَّ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ ".
হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দরিদ্র লোকেরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–এর নিকট এসে বললেন, সম্পদশালী ও ধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পদের দ্বারা উচ্চমর্যাদা ও স্থায়ী আবাস লাভ করছেন, তাঁরা আমাদের মত সালাত আদায় করছেন, আমাদের মত সিয়াম পালন করছেন এবং অর্থের দ্বারা হাজ্জ, ‘উমরাহ্, জিহাদ ও সদাক্বাহ করার মতো মর্যাদাও লাভ করছেন।
এ শুনে তিনি বললেন, আমি কি তোমাদের এমন কিছু কাজের কথা বলব, যা তোমরা করলে, যারা নেক কাজে তোমাদের চেয়ে অগ্রগামী হয়ে গেছে, তাদের পর্যায়ে পৌঁছতে পারবে। তবে যারা পুনরায় এ ধরনের কাজ করবে তাদের কথা স্বতন্ত্র। তোমরা প্রত্যেক সালাতের পর তেত্রিশ বার করে তাসবীহ্ (সুবহানাল্লাহ্), তাহ্মীদ (আলহামদু লিল্লাহ্) এবং তাকবীর (আল্লাহ আকবার) পাঠ করবে।
(এ নিয়ে) আমাদের মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি হলো। কেউ বলল, আমরা তেত্রিশ বার তাসবীহ্ পড়ব। তেত্রিশ বার তাহ্মীদ আর চৌত্রিশ বার তাকবীর পড়ব। অতঃপর আমি তাঁর নিকট ফিরে গেলাম। তিনি বললেন, سُبحانَ اللهِ وَالحَمدُ للّهِ وَ اللهُ أَكبَر বলবে, যাতে সবগুলোই তেত্রিশবার করে হয়ে যায়।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮৪৩।
যারা ২৪ ঘন্টা গুনাহে লিপ্ত তাদের জন্য ৫টি মহা সুসংবাদঃ-
আমাদের অনেক ভাই বোন রাত দিন ২৪ ঘন্টা গুনাহে লিপ্ত, তাঁরা জানেই না তাঁদে র এ পৃথিবীতে আসার লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি?
গুনাহ করতে করতে এক সময় যখন দুর্বল হয়ে যায়, তখন
তাঁরা নিরাশ হয়ে যায়, ভাবে হায় আমি সারা জীবন গুনাহ করেছি, রাত দিন ২৪ ঘন্টা আল্লাহর নাফরমানি করেছি, এখন
সে তওবা করতে চায়, কিন্তু সে চিন্তা করে আল্লাহ কি আমার গুনাহ মাফ করবেন? অথচ আল্লাহ তায়ালা এমন বান্দাকে কত আদর করে বুঝিয়েছেন (লা তাকনাতু মির রাহমাতিল্লাহ ইন্নাল্লাহা এয়াগফিরুজ্জুনুবা জামিআ ইন্নাহু হুয়াল গাফুরুর রাহিম) হে বান্দা তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হইও না নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাকারী ও দয়ালু। এসব গুনাহগারদে জন্য আজ আমি অতি সহজ ৭টি সুসংবাদ নিয়ে এসেছি।
প্রথমঃ- ইমামের সাথে নামাজে দাঁড়িয়ে যান, ইমামের সাথে রুকু করবেন, রুকু থেকে উঠবেন যখন ইমাম বলবে সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা ঠিক সে সময় ফেরেশতারা বলে (আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ) আর আপনিও যদি (আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ) বলেন রাসুলুল্লাহ (দঃ) বলেন (ফাইন্নাহু মান ওয়াফাকা কাউলুহু কাউলাল মালাইকা) যার কথা ফেরেশতাদের কথার সাথে মিলে গেল (গুফিরা লাহু মা তাকাদ্দামা মিন জামবি) তার বিগত জীবনের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়ঃ- এরপর নামাজ শেষ করেছেন এখন কি করবেন
(মান ছাব্বাহাল্লাহ, ছালাছান ওয়া ছালাছিনা, ওয়া হামিদাল্লাহ ছালাছান ওয়া ছালাছিনা, ওয়া কাব্বারাল্লাহ ছালাছান ওয়া
ছালাছিনা) ৩৩ বার ছুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৩ বার আল্লাহুআকবর পড়ে দিন এবং ১০০ পুরন করার
জন্য পড়ুন (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াহদাহু লা শারিকালাহ,
লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা শায়্যিন ক্বাদির)
যদি সমুদ্রের ফেনা বরাবরও যদি গুনাহ থাকে আল্লাহ তায়ালা তা মাফ করে দেন।
তৃতীয়ঃ- রাসুলুল্লাহ (দঃ) ফরমান (মা মিন আহাদিন
আলাল আরদে এয়াকুল) পৃথিবীর জমিনে কোন মানুষ যদি এ কথা বলে দেয়, (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) শুধু এ ৩টি বাক্য
১।(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ)
২।(আল্লাহু আকবার)
৩।(লা হাউলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) কুফফিরাতা আনহু খাতায়াত, ওয়া ইন কানাত মিছলা জাবাদিল
বাহার। সমুদ্রের ফেনার বরাবর গুনাহও আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন। সমুদ্রের ফেনার বরাবর গুনাহ বলার কারন কি এর ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিছিনে কেরাম ফরমান সমুদ্রের পানি দিন রাত ২৪ ঘন্টা ঢৈউ মারতে থাকে আর তাতে ২৪ ঘন্টা ফেনা উৎপন্ন হতে থাকে, তেমনি যারা রাত দিন ২৪ ঘন্টায় গুনাহের সমুদ্রে ঢুবে ছিলেন আল্লাহ তায়ালা তাঁদের গুনাহসমুহও মাফ করে দেন।
চতুর্থঃ- রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি খাবার খায়, এবং খাবার গ্রহণের পর এ কলমাটা পড়ে নেয় (আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাজি, আতোয়ামানি হাজাত তোয়াম, ওয়া রাজাকানিহি মিন গাইরি হাউলিম মিন্নি ওয়ালা কুয়্যাহ) এই কথাগুলি বলার সাথে সাথে কি হবে জানেন? (গুফিরা লাহু
মা তাকাদ্দামা মিন জানবিহ) বান্দার যতগুলি গুনাহ আছে আল্লাহ তায়ালা সব গুনাহ মাফ করে দিবেন। আমরা প্রতিদিন কাপড় পরিবর্তন করি, গোসলের পর, কোথাও যাওয়ার সময় কাপড় পরিবর্তন করি, বাহির থেকে আসার পর কাপড় পরিবর্তন করি, কাপড় পরিধান করি (মান কাছা ছাওবা) যে কাপড় পরিধানের পর ২টি কথা বলে দেয় (আলহামদুলিল্লাহ আল্লাজি কাছানি হাজা ওয়া রাজাকানিহি মিন গাইরি গাউলিম মিন্নি ওয়ালা কুয়্যাতা) তাহলে তাঁর কি হবে জানেন? হুযুর (দঃ) তাঁর ব্যপারে সুসংবাদ দিচ্ছেন (গুফিরা লাহু মা তাকাদ্দামা মিন জানবিহ) আল্লাহ তায়ালা তাঁর বিগত জীবনের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।
পঞ্চমঃ- রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি জিকিরের মজলিসে বসে চাই তা নামাজের পর হউক, কিংবা জুমার পর হউক, কিংবা ওয়াজ মাহফিল হউক, কিংবা কুরআন তেলাওয়াতের সমাবেশ হউক, তখন আল্লাহর তরফ থেকে ফেরেশতাকে অর্ডার দেয়া হয় যে হে ফেরেশতা তুমি ঘোষনা দাও, ফেরেশতারা ঘোষনা দেয় (কুমু, মাগফুরান লাকুম) তোমরা নিজ নিজ ঘরে চলে যাও তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। এক ফেরেশতা বলে উঠ (ওয়া বুত্তিলাত ছায়্যিআতিকুম হাছানাত) শুধু গুনাহ মাফ করেননি, মহান রাব্বুল আলামিন তোমার সমস্ত গুনাহকে ছাওয়াবে পরিবর্তন করে দিয়েছেন।
গুনাহমুক্ত হতে নিন পাঁচটি পদক্ষেপঃ-
১. গুনাহকে ছোট মনে করা যাবে না।
কোন গুনাহকেই কখনো ছোট মনে করবেন না। গুনাহ গুনাহই, তা মানুষকে অকল্যানের দিকেই নিয়ে যায়। ছোট হোক বা বড়, সকল প্রকার গুনাহ মানুষের জন্য ধ্বংস ডেকে আনে।
২. গুনাহর কাজ থেকে তাৎক্ষনিকভাবেই বিরত হোন।
যখনই আপনার মনের মধ্যে গুনাহের জন্য অনুশোচনাবোধ করবেন, তৎক্ষনাৎ গুনাহের কাজটি বন্ধ করে দিন। কোন অজুহাতেই গুনাহের কাজে নিজেকে লিপ্ত রাখবেন না। একটার পর একটা গুনাহের চক্রে নিজেকে জড়ানো থেকে বিরত রাখুন।
৩. তাওবা করুন।
গুনাহের অনুশোচনা থেকে তাওবার মাধ্যমে আপনি আল্লাহর কাছে আপনার গুনাহের ক্ষমা ও ঐ গুনাহটি দ্বিতীয়বার না করার প্রতিজ্ঞা করেন। দুই রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহের ক্ষমার জন্য কান্নাকাটি করুন। পাশাপাশি মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করুন, তাওবা করা গুনাহটি জীবনে আর দ্বিতীয়বার করবেন না।
৪. আল্লাহর শোকর করুন
গুনাহ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহ আপনাকে তাওবা করার সুযোগ দিচ্ছেন, এর জন্য আল্লাহর কাছে শোকর করুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনাকে তাওবাবিহীন মৃত্যু দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি আপনাকে সংশোধনের জন্য একটি সুযোগ দান করছেন। এজন্য বেশি বেশি আল্লাহর প্রশংসা ও শোকর আদায় করুন।
৫. আল্লাহর থেকে নিরাশ হবেন না
আল্লাহর ক্ষমা থেকে কখনোই আশাহত হবেন না। তার ক্ষমার শক্তির উপর বিশ্বাস রাখুন। আপনি যতবার, যতবড় গুনাহই করুন না কেন, নিজে নিজে কখনোই ভেবে নেবেন না যে আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করবেন না। বরং, যতবারই গুনাহ হয়ে যাক না কেন, আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে ক্ষমার প্রত্যাশা নিয়ে তাওবা করুন।
আলহামদুলিল্লাহ ভাই বেশ ভালো লিখেছেন। আল্লাহ আপনার উভজগত রহমতে পরিপূর্ণ করে দিন।
ReplyDelete